লাদাখের ফ্রিকশন পয়েন্টে সংঘাতের আবহ প্রশমিত করতে এবার ষোড়োশতম বৈঠকে চিনের লালফৌজের মুখোমুখি হতে পারে ভারতীয় সেনা। পূর্ব লাদাখে ১৭ জুলাই এই বৈঠকের তারিখ স্থির করা হতে পারে বলে খবর। তবে এবিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।
উল্লেখ্য, দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক এর আগে ৪ মাস আগে শেষ হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে যখন ভারত তীব্রভাবে করোনার বিধ্বস্ত , ঠিক তখনই চিনের লালফৌজ লাদাখে আগ্রাসন দেখায়। পাল্টা তার জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। গালওয়ানের মল্লযুদ্ধে শহিদ হন বহু ভারতীয় সেনা। সেই ঘটনার পর থেকে এই সংঘাতের আবহ স্তিমিত হয়েছে দুই দেশের বহু বৈঠকের পর। তবে সমস্যার স্থায়ী সমাধান এখনও উঠে আসেনি। এর আগে ১১ মার্চ বৈঠক হয়। এরপর ৪ মাস পরে এই বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের সংঘাতের সময়ের পর থেকে এত লম্বা ফারাকের বৈঠক আগে হয়নি। 'পরশ পাথর'-র লোভে বৃদ্ধকে খুন! মিথ্যা রটনা কীভাবে ডেকে আনল 'কাল'?
এর আগে, এই বৈঠকের সবচেয়ে বেশি সময়ের ফারাক ছিল এক মাস ২২ দিনের। সেই ফারাকে লাদাখ ইস্যুতে দুই দেশের বৈঠক হয়। জানা যাচ্ছে গত দুইবারের মতোই এবারেও দুই দেশ ফ্রিকশন পয়েন্টে ডিসএনগেজমেন্ট নিয়ে কথা বলবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রাক্তন সেনা অফিসার বিনোদ ভাটিয়া বলছেন, 'যতক্ষণ আমরা কথা বলছি, দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থা সমাধানের আশা বেশি। এই আলোচনা পর্ব অসামান্য সমস্যাগুলি সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করতে দুই পক্ষের যে ইচ্ছা রয়েছে তার ইঙ্গিত দেয়।' গত সপ্তাহে সীমান্ত ঘিরে সমস্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান চেয়ে চিনের কাছে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিল ভারত। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সৈন্যদের বিচ্ছিন্নকরণ সম্পূর্ণ করার জন্য চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইকে চাপ দিয়েছিলেন।