পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের ফাঁড়া যেন কাটছে না। এবার আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর ৫.৪৯ কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনস্থ ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট। তার জেরে অস্বস্তিতে পড়ে গেলেও পুরো বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের এক মুখপাত্র। তিনি দাবি করেছেন, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের যে অংশের ব্যবসার জন্য জরিমানা করা হয়েছে, সেটার পাঠ চুকিয়ে দেওয়া হয়েছে দু'বছর আগেই। তাঁর কথায়, ‘ওই সময়ের পরে আমরা আমাদের নজরদারি ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছি। সেইসঙ্গে ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের কাছে বিভিন্ন বিষয় জানানোর ব্যবস্থা আরও মজবুত করেছি আমরা।’
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, একাধিক প্রতিষ্ঠান অনলাইন জুয়ার আয়োজন করার মতো বিভিন্ন বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত আছে বলে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পরে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখতে শুরু করেছিলেন ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের কর্তারা। সেই বেআইনি কাজকর্ম থেকে যে টাকা পাওয়া যেত, তা পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কে থাকা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অন্যত্র পাঠিয়ে দিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলি।
অর্থ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক এবং ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের অধিকর্তার লিখিত এবং মৌখিক বয়ানের পাশাপাশি যে নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে পেটিএমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের যথেষ্ট ‘ভিত্তি’ আছে। সেই পরিস্থিতিতে আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের ১৩ নম্বর ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর ৫.৪৯ কোটি টাকার জরিমানা ধার্য করা হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর এমন একটা সময় জরিমানা চাপাল ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট, যখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) জারি করা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে মেরেকেটে দু'সপ্তাহ পড়ে আছে। একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করায় আগামী ১৫ মার্চের পর থেকে পেটিএম অ্যাকাউন্টে কোনওরকম টাকা জমা দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র যে গ্রাহকদের পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে যতদিন টাকা পড়ে থাকবে, ততদিন সেটা ব্যবহার করতে পারবেন।