প্রবীণ নাগরিকদের (সিনিয়র সিটিজেন) টিকিটে ছাড় তুলে দিয়ে গত অর্থবর্ষেই বাড়তি ২,২৪২ কোটি টাকা কামিয়েছে ভারতীয় রেল। মধ্যপ্রদেশের চন্দ্রশেখর শেখর গৌরের তথ্য জানার অধিকার আইনের (RTI) প্রেক্ষিতে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের প্রায় আট কোটি প্রবীণ নাগরিককে (৪.৬ কোটি পুরুষ, ৩.৩ কোটি মহিলা এবং ১৮,০০০ তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ) ট্রেনের টিকিটে ছাড় দেওয়া হয়নি। সেইসময় প্রবীণ নাগরিক যাত্রীদের থেকে ৫,০৬২ কোটি টাকা কামিয়েছে রেল। প্রবীণ নাগরিকদের ট্রেনের টিকিট থেকে ছাড় তুলে নেওয়ায় বাড়তি ২,২৪২ কোটি টাকা ঢুকেছে রেলের কোষাগারে।
ট্রেনের টিকিটের ক্ষেত্রে প্রবীণ নাগরিকরা দীর্ঘদিন ছাড় পেতেন। সব শ্রেণির টিকিটের ক্ষেত্রেই মহিলাদের ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হত। তাঁরা ৫৮ বছর থেকেই সেই ছাড় পেতেন। পুরুষ এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের বয়স ৬০ হলে সেই সুযোগ মিলত। তাঁরা ট্রেনের টিকিটের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ছাড় পেতেন। সূত্রের খবর, রেল ৩৫ রকমের ছাড় দেওয়া হত। মোট যে পরিমাণ অর্থের ছাড় দেওয়া হত, সেটার প্রায় ৮০ শতাংশই চলে যেত প্রবীণ নাগরিকদের খাতে।
তারইমধ্যে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় থেকে প্রবীণ নাগরিকদের ট্রেনের টিকিট থেকে ছাড় বন্ধ করে দেয় ভারতীয় রেল। তারপর থেকেই রেলে প্রবীণ নাগরিকদের আয়ের খাতে আয় ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আরটিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২০ মার্চ থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রবীণ নাগরিকদের খাতে ৩,৪৬৪ কোটি টাকা আয় হয়েছে রেলের। যদি ছাড় দেওয়া হত, তাহলে ১,৫০০ কোটি টাকা কম ঢুকত রেলের কোষাগারে। আর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পুরুষ প্রবীণ নাগরিকদের থেকে রেলের কোষাগারে ২,৮৯১ কোটি টাকা, মহিলা প্রবীণ নাগরিকদের থেকে ২,১৬৯ কোটি টাকা এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রবীণ নাগরিকদের থেকে ১.০৩ কোটি টাকা ঢুকেছে।
সেই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, ট্রেনের টিকিটে এখনই প্রবীণ নাগরিকদের ছাড় ফেরানো হবে না। শেষবার ওই বিষয়টি নিয়ে যখন ভারতীয় রেল মুখ খুলেছিল, তখন জানানো হয়েছিল যে এখনও প্রবীণ নাগরিকদের ট্রেনের টিকিটের ক্ষেত্রে ছাড় ফেরানো হচ্ছে না।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)