রবিবার মুসলিম চুড়ি বিক্রেতাকে হিন্দু এলাকায় চুড়ি বিক্রির 'অপরাধে' গণধোলাইয়ের অভিযোগ উঠল। ইন্দোরের গোবিন্দনগরের এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আক্রান্ত যুবক স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের জাতীয় চেয়ারম্যান ইমরান প্রতাপগড়ি। তিনি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে উদ্দেশ করে বলেন, 'রাজ্যের জন্য লজ্জাজনক ঘটনা। ইন্দোরে প্রকাশ্যে গণধোলাই করা হয়েছে।' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ করে কংগ্রেস সাংসদ অভিযোগ করেন, 'বিজেপি হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্বকে ধ্বংস করেছে।' তিনি প্রশ্ন করেন, 'এই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে?'
অন্যদিকে ওই চুড়ি-বিক্রেতা যুবকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন একাংশ। হামলাকারীদের দাবি, ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করেছিলেন ওই যুবক। তারপর সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে মিথ্যা নাম-পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেন, 'যদি একজন মানুষ তার নাম, বর্ণ এবং ধর্ম গোপন করে তাহলে সমস্যা তো হবেই।' তিনি বলেন, 'সব ঘটনায় সাম্পদায়িক রং খোঁজা উচিত্ নয়।'
ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাস দুই আগে উত্তরপ্রদেশে মুসলিম যুবককে হেনস্থা ও মারধরের ঘটনার সঙ্গেও অনেকে এর তুলনা করেছেন। টুইটারে ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিয়ো। এ বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
তবে, এই সেই ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ভিউয়ের উদ্দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের ভিডিয়ো ছড়ানো উচিত্ নয়। এই নিয়ে পরবর্তীকালে আরও অশান্তি-বিতর্ক হতে পারে।