জাপানি লেখক ওসামু দাজাইয়ের গল্পের একটি চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গিয়েছিল। আর সেই চরিত্রের দ্বারা ‘অনুপ্রাণিত’ হয়ে মা ও দাদাকে গুলি করে খুন করেছে ১৪ বছরের মেয়ে। লখনউয়ে জোড়া খুনের জোড়া এমনই তথ্য উঠে পুলিশের হাতে।
মহিলা পুলিশকর্মী ও মনোবিদদের উপস্থিতিতে নিজেই সে কথা স্বীকার করেছে রেল মন্ত্রকের উচ্চপদস্থের আধিকারিকের মেয়ে। যে জাতীয় শুটিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। এক উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, দাজাইয়ের গল্পের চরিত্রগুলিকে অনুসরণ করত ওই কিশোরী। যিনি সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নিয়ে গল্প-উপন্যাস লিখতেন।
ওই পুলিশকর্তা বলেন, 'দাজাইয়ের উপন্যাসে পরিবর্তন, মানিয়ে নেওয়া এবং উপযুক্ত হয়ে ওঠার চেষ্টা করত ওবা ইয়োজো নামে এক চরিত্র। কিন্তু মানুষ হতে সে ব্যর্থ হয়। মেয়েটি সেই চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পেরেছিল। নিজের খাতায় লিখেছিল, মানুষ হতে ব্যর্থ, মানুষ হিসেবে বাতিল। এটা দাজাইয়ের লংগার হিউম্যানের বইয়ের একটি অংশ।'
কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, শনিবার মধ্যাহ্নভোজের পর তার দাদা ও মা ঘুমোতে চলে যান। সে বাথরুমে গিয়ে স্নান সেরে ফলের রস খায়। আয়নায় লেখে 'আমি বাতিল মানুষ'। প্রথমে বাথরুমের আয়না লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তারপর মা ও দাদাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি খেলনা 'খুলি' পাওয়া গিয়েছে। আর যে পিস্তল থেকে গুলি চালিয়েছিল কিশোরী, তা তার বাবার নামে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। যিনি দিল্লিতে কর্মরত।
মনোবিদরা জানিয়েছেন, দাজাইয়ের উপন্যাসের বিভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে নিজের তুলনা করত কিশোরী এবং তাদের মতো আচরণ করত। যে ২০১৩ সাল থেকে শুটিং শুরু করেছে। বিভিন্ন জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণও করেছে।