কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক ছিল একাধিক কারণে। সমকামিতা নিষিদ্ধ হওয়া, বিয়ার বিষিদ্ধ হওয়া, পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু সহ একাধিক কারণে কাতারের সমালোচনা হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এরই মাঝে কাতারে বিশ্বকাপ চলাকালীন ‘জঙ্গি সমর্থনকারী’ প্রচারক জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আর এবার রিপোর্টে দাবি করা হল, বিশ্বকাপের ফাঁকেই ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ইসলামের প্রচার করা হচ্ছে কাতারে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়, ইসলামের বই দেওয়া হচ্ছে বিশ্বকাপের দর্শকদের। এদিকে কাতারা কালচারাল সেন্টারে দোভাষীরা বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে ইসলামের প্রচার করছেন। এদিকে মসজিদের বাইরেও প্রচারকরা দাঁড়িয়ে বিদেশিদের মধ্যে ইসলামের প্রচার করছে। অ-মুসলিম দর্শকদের যদি ইসলাম সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন থাকে, তার জবাবও দিচ্ছেন এই প্রচারকরা।
শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামের বাইরেই স্টল তৈরি করেছে কাতারের ইসলাম মন্ত্রক। সেখানে ইসলামের সঙ্গে ‘পরিচয়’ করানো হচ্ছে ফুটবলপ্রেমীদের। এদিকে ইলেকট্রনিক বোর্ডে ইসলাম সম্পর্কিত তথ্য পড়তে ‘উৎসাহ’ দেওয়া হচ্ছে দর্শকদের। তিরিশটি ভাষায় এই বোর্ডে ইসলাম সম্পর্কিত লেখা রয়েছে। পয়গম্বর হজরত মহম্মদের কীর্তি এবং শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় কাতারের দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা হয়েছে দর্শকদের আকৃষ্ট করার জন্য। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, কিছু কিছু হোটেল রুমে কিউআর কোড ব্যবহার করে ইসলামের প্রচার চালানো হচ্ছে।
এদিকে ইসলামপন্থী কিছু টুইটার হ্যান্ডেল দাবি করেছে, গত সপ্তাহে কাতারে ভ্রমণকারী প্রায় ৫০০ জন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। দোহার এক মসজিদে ব্রাজিলিয়ান এক পরিবারের ইসলাম গ্রহণের খবরও ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই সব রিপোর্ট এবং দাবির সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দু্স্তান টাইমস বাংলা।