বিজেপি শূন্য ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আজ অনায়াসে আস্থা ভোটে জয়ী হয়ে নিজের শক্তিপ্রদর্শন করলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর বিধায়কপদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যে জল্পনা চলছে, তারই মাঝে সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। এরই মাঝে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে আজ আস্থা ভোটের ডাক দিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। ৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আজ ৪৮টি ভোট পায় সরকার পক্ষ। এদিকে বিরোধী বিজেপি, শরিকদল AJSU এবং দুই নির্দল বিধায়ক আজ ‘ওয়াকআউট’ করেন বিধানসভা থেকে।
এদিকে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বাইস গত শুক্রবার নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। তাঁর এই সফর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। রাজ্যের ক্ষমতাসীন জোটের একটি প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে বৃহস্পতিবার দেখা করে। রাজ্যপালের কাছে শাসক শিবিরের বিধায়করা আবেদন করেন, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধানসভা সদস্যপদ নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে গোপন রিপোর্ট পাঠিয়েছে, তা যাতে প্রকাশ করা হয়। এরপরই দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এদিকে কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট করা হয়নি রাজভবনের তরফে।
সূত্র মারফত দাবি করা হচ্ছে, অফিস অফ প্রফিট ইস্যুতে হেমন্ত সোরেনকে বিধানসভা থেকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে এই রিপোর্ট এখনও প্রকাশ করেননি রাজ্যপাল। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন চলছে। এই রিপোর্টের সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যপালকে। রাজ্যপাল কী করেন, তার ওপরই পরের ঘটনাক্রম নির্ভর করবে ঝাড়খণ্ডে। এই আবহে রাজ্যপালের দিল্লি সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে নোটিশ পাঠিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নিজের নামে পাথর খাদানের ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে থাকাকালীন সেই পদের সুযোগে লাভবান হওয়া বেআইনি। এই প্রেক্ষিতে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই চাপে রয়েছেন হেমন্ত। তবে আজকের জয়তে কিছু স্বস্তি পাবেন তিনি।