ঋণ নিয়ে ট্রাক্টর কিনেছিলেন ঝাড়খণ্ডের এক কৃষক। তিনি বিশেষ ভাবে সক্ষম। সেই কৃষক সময় মতো নিজের ঋণের টাকা ফেরাতে পারেননি। আর এর জেরে মর্মান্তিক পরিণত হল সেই কৃষকের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের। জানা গিয়েছে, ঋণ আদায় করতে আসা কর্মীরা কৃষকের সেই ট্রাক্টর দিয়েই তাঁৎ অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে পিষে দিয়েছে। কৃষকের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে মারা গিয়েছে এই ঘটনায়। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলায় ইচক থানা এলাকায়। অভিযুক্ত ঋণ আদায় কর্মীরা মহিন্দ্রার বলে জানা গিয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মনোজ রতন চোথে এএনআইকে জানিয়েছেন যে ফাইন্যান্স কোম্পানির আধিকারিকরা ঋণ আদায় করতে গেলে কৃষকের সঙ্গে তর্ক শুরু হয়। যখন ঋণ আদায়কারী কর্মীরা ট্র্যাক্টরটি নিয়ে যেতে চায়। পরে সেই ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয় কৃষকের মেয়ে মারা যায়। পুলিশের তরফে জানানো হয়, বেসরকারি ফাইন্যান্স কোম্পানির রিকভারি এজেন্ট ও ম্যানেজারসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাজারীবাগের স্থানীয় পুলিশ এএনআইকে জানিয়েছে যে ফাইন্যান্স কোম্পানির আধিকারিকরা ট্রাক্টর উদ্ধারের জন্য কৃষকের বাড়িতে যাওয়ার আগে স্থানীয় থানাকে অবহিত করেনি। ঘটনা প্রসঙ্গে মৃত যুবতীর এক আত্মীয় বলেন, ‘আধিকারিকরা ট্রাক্টর নিয়ে যেতে এলে সে ট্রাক্টরের সাম চলে আসে। ঝগড়া শুরু হলে তারা তাকে পিষে দিয়ে হত্যা করে। পরে তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’
এদিকে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মহিন্দ্রা গোষ্ঠীর সিইও অনিশ শাহ এক বিবৃতি জারি করে বলেন, ‘হাজারীবাগের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। আমরা তৃতীয় পক্ষের ঋণ আদায়কারী সংস্থার সঙ্গে কাজ করার বিষয়টি খতিয়ে দেখব৷’