ভারতে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আবেদন করল বহুজাতিক ফার্মা সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন। প্রসঙ্গত জনসন অ্যান্ড জনসনের এই টিকাটি একটি ডোজের। মার্কিন মুলুকে এই টিকা ৭২ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে সংস্থার তরফে। তবে বিশ্বের তিন মহাদেশে পরীক্ষায় টিকার সাফল্যের হার ৬০ শতাংশের কিছুটা বেশি। এদিকে এখনও পর্যন্ত ভারতে যেই তিনটি টিকা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়েছ। সেই তিনটি টিকাই দু'টি ডোজের।
এদিকে ভারতে কোভিড টিকা আমদানি করার লাইসেন্সের আবেদনও করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। সংস্থা তরফে জানানো হয়েছে, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গনাইজেশনের সঙ্গে দ্রুত একটি বৈঠকে বসার আবেদন জানিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই বিদেশি টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সুগম অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে গত ১২ এপ্রিল গ্লোবাল ক্লিনিকাল ট্রায়ালের আবেদন জানায় জনসন অ্যান্ড জনসন। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের ভ্যাকসিন ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তিন মাস পর্যন্ত স্টোর করে রাখা যায়।
এদিকে গত সপ্তাহেই জনসন অ্য়ান্ড জনসন টিকার প্রয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্য়ান্ড ড্রাগ অ্য়াডমিনিস্ট্রেশন। ওই ভ্য়াকসিন নিলে রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জনসন অ্য়ান্ড জনসনের টিকাকে সবুজ সঙ্কেত দেয়। এবং তার আগে জানায়, করোনা প্রতিরোধে দারুণ কার্যকরী এই সিঙ্গল শট ভ্যাকসিন। কিন্তু তার ২ মাস কাটতে না কাটতেই অন্য় পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এই প্রসঙ্গে ফুড অ্য়ান্ড ড্রাগ অ্য়াডমিনিস্ট্রেশনের তরফে জানানো হয়েছে, জনসন অ্য়ান্ড জনসন টিকা নেওয়ার পরের দিনই ছ'জন মহিলার রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে। এবং রক্তের প্লেটলেট কাউন্ট ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। সেকারণেই আপাতত ওই টিকা দেওয়ার কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।