রাজনীতির প্রথম সারিতে এবার নতুন মুখদের তুলে আনছে বিজেপি। রাজস্থান, মধ্য়প্রদেশ, ছত্তিশগড় তিন রাজ্যেই নতুন নেতৃত্বকে নিয়ে এসেছে বিজেপি। বদলে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখও। কার্যত বৃদ্ধতন্ত্রের অবসান কি এবার গেরুয়া শিবিরেও? বসুন্ধরা রাজে, শিবরাজ সিং চৌহান থেকে রমন সিং তাঁদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়েও এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এবার তা নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা।
আজতক ২০২৩ কনক্লেভে এনিয়ে মুখ খুলেছেন জেপি নাড্ডা। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ওই তিনজনই দলের সিনিয়র লিডার। তাঁদের উপযুক্ত স্থান দলে থাকবে। তিনি বলেন, আমাদের দল সকলকেই এমনকী একজন সাধারণ কর্মীকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব দেয়।
জেপি নাড্ডাকে ওই কনক্লেভে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ওই তিনজন কী বর্তমানে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি তাঁদেরকে বলেছি আপনারা দলের মধ্য়ে একটা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন। আমরা এবার অন্য একটি লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছি। সেকারণে আমরা আপনাদের সমর্থন চাই।
তিনি জানিয়েছেন, শুধু উচ্চস্তরেই নয়, একেবারে তৃণমূলস্তরে যাঁরা কাজ করেন দল তাঁদেরও সমান গুরুত্ব দেয়। তিনি বলেন, আমাদের দলে প্রতিটি কর্মীর সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাঁদের কাজ, তাঁদের নিষ্ঠা সব কিছু দেখা হয়। সেকারণে আমাদের দলের নির্দিষ্ট ডেটা ব্যাঙ্ক রয়েছে। সেটা সময়ে সময়ে পর্যালোচনা করা হয়।
তিনি বলেন, ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে, দলের টিকিট দেওয়ার সময় থেকে আমরা বিচার বিবেচনা করা শুরু করে দিই। কারা ভালো নেতা হবেন, এই মনোনয়নের প্রক্রিয়া ক্রমেই চলতে থাকে। এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আর ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এবার মন্ত্রিসভা তৈরি করা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
মধ্য়প্রদেশে এবার বিজেপি মোহন যাদবকে মুখ্য়মন্ত্রীর পদে বসিয়েছেন। তিনি তিনবারের বিধায়ক। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বিষ্ণু দেও সাই বসলেন ছত্তিশগড়ের সিএমের চেয়ারে। আর প্রথমবার বিধায়ক হয়েই রাজস্থানের মুখ্য়মন্ত্রী হয়ে গেলেন ভজন লাল শর্মা।