বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর মোদী-বিরোধী মুখ হিসাবে জাতীয় স্তরে উঠে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আজ একুশে জুলাইয়ের সভায় মমতার বক্তব্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই আবহে দিল্লির সাংবিধানিক ক্লাবে জাতীয় স্তরের নেতৃত্বের দিকে নজর রয়েছে সবার। সেখানেই এদিন বিরোধীদের সংঘবদ্ধ হতে দেখা গেল। এদিন মমতার ভাষণ শুনতে দিল্লিতে উপস্থিত হয়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, আরজেডি সাংসদ রাম গোপাল যাদবের মতো ব্যক্তিত্বরা। এসেছেন শরদ পাওয়ার, সুপ্রিয়া শুলে, দিগ্বিজয় সিং, মনোজ ঝা। উপস্থিত রয়েছেন অকালি দলের সাংসদও। জনসভা শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা আগে এঁরা পৌঁছান ক্লাবে। তাঁদের স্বাগত জানান লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, ২৬ জুলাই দিল্লি যাওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে ২০২৪ সালের উপর নজর রেখে ২১ জুলাই পালন করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। দিল্লিতে গিয়ে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করার আগে আজকের সভা থেকে বিজেপি বিরোধী সুর চড়িয়ে নিজের মোদী বিরোধী ভাবমূর্তি আরও স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
প্রথমে ঠিক ছিল এবার একুশে উদযাপন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের সমাবেশ থেকেই অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের যাবতীয় পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয় রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। শাসক হিসাবে তাই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের বদলে এবার তাই সভা হচ্ছে ভার্চুয়ালি। কিন্তু ভার্চুয়াল সভা হলেও তার গুরুত্বকে এতটুকু ছোট করে দেখতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস। বরং জাতীয় স্তরে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে এই জনসভার উপর ভরসা করে আছে তৃণমূল। তাই ভার্চুয়ালি দেশের বিভিন্ন জায়গায় মমতার বক্তব্য পৌঁছে দিতে সচেষ্ট হয়েছে দল।