মল্লিকা সোনি
মার্কিন ভাইপ্রেসিডেন্ট কমলা হ্য়ারিস তাঁর মামার বাড়ির দিকে ভারতীয় দাদুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁর দাদু পিভি গোপালনের পরিবার থাকতেন জাম্বিয়াতে। জাম্বিয়ার রাজধানী লুসাকাতে তাঁর বাড়ি। ১৯৬০ সালে তিনি আইএফএস হিসাবে কর্মরত ছিলেন। জাম্বিয়া সফরে গিয়ে তিনি সেই বাড়িও ঘুরে আসেন।
কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, জাম্বিয়া যাওয়াটা আমার কাছে খুব তাৎপর্যপূর্ণ। অনেকেই আমার পরিবার সম্পর্কে জানেন। অনেকেই জানেন আমি জাম্বিয়া গিয়েছিলাম। আমার দাদু এখানে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬৬ সালে জাম্বিয়ার স্বাধীনতার ঠিক পরেই তিনি লুসাকাতে এসেছিলেন। ত্রাণ কাজ ও শরণার্থীদের পাশে থাকার কাজে ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করার জন্য তিনি সেখানে এসেছিলেন। জাম্বিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসাবে তিনি কর্মরত ছিলেন। তিনি শরনার্থী পুনর্বাসনের ব্যাপারে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন।
১৯১১ সালে পিভি গোপালন জন্মগ্রহণ করেছিলেন চেন্নাইতে। ১৯৬০ সালে তিনি ভারতের তরফে জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। লুসাকাতে তিনি ১৬ ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যাভিনিউতে থাকতেন।
কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, এখানে আমার জীবনটাকে খুব ভালোভাবে মনে করতে পারি। তখন আমি শিশু ছিলাম। সেটা ছিল একজন শিশু স্মৃতি। এখানকার সেই উষ্ণতা এখনও অনুভব করতে পারি। আমাদের পরিবার ও সকলের তরফ থেকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। এখানকার সকলকে আমার হ্য়ালো জানাচ্ছি।
সূত্রের খবর, পিভি গোপালনকে গভর্নমেন্ট অফ জাম্বিয়ার ডিরেক্টর অফ রিলিফ মেসার্স অ্যান্ড রিফিউজিসে নিয়োগ করা হয়েছিল। ভারত সরকারের তরফেই তাঁকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি ছিলেন পুনর্বাসন মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি। সেই পদে থাকাকালীন তাঁকে জাম্বিয়া পাঠানো হয়েছিল।