সুপ্রিম কোর্টে সদ্য কর্ণাটক সরকারের তরফে একটি হলফনামায় বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগে স্বামীর বিচারের সপক্ষে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এর আগে, কর্ণাটক হাইকোর্টের একটি মামলার শুনানি প্রসঙ্গ তুলে ধরে কর্ণাটক সরকার। সেখানে বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে চলে মামলার বিচার।
কর্ণাটক সরকার বলছে, অভিযুক্ত স্বামী এক্ষেত্রে দোষী কি না তা মামলার পক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী বৈবাহিক ধর্ষণে স্বামীদের ক্ষেত্রে যে অন্যাক্রম্যতার কথা বলছে সেকথাও উল্লেখ করে কর্ণাটক সরকার। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হলফনামায় কর্ণাটক সরকার বলছে, কর্ণাটকের হাইকোর্ট বর্তমান পিটিশনের সাথে জড়িত আইনের সমস্ত প্রশ্ন বিবেচনা করেছে এবং এতে সুপ্রিম কোর্টের কোনও হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, বৈবাহিক ধর্ষণ মামলায় কর্ণাটক হাইকোর্টের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বৈবাহিক ধর্ষণ মামলায় রায় দিয়েছিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। এরপর কর্ণাটক সরকার তার সাপেক্ষে বক্তব্য জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা পেশ করে। এর আগে মার্চ মাসের ২৩ তারিখে কর্ণাটক হাইকোর্ট আইপিসির ৩৭৬ ধারায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে নস্যতের আবেদন খারিজ করে দেয়। ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছেন আর তাঁকে ধর্ষণের দাস বানিয়ে রেখে দিয়েছেন।
এরপর মামলার শুনানি হয় কর্ণাটক হাইকোর্টে। তখনই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরকে নস্যাৎ করার আবেদন খারিজ করে দেয় কোর্ট। সেখানে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ এর ২ সেকশনকে ব্যতিক্রম বলে বর্ণনা করা হয়। যে ধারায় স্বামীকে অন্যাক্রম্যতা দেওয়া হয়। কারণ হিসাবে দর্শানো হয় যে, স্ত্রী নাবালিকা নন। সেই জায়গা থেকে কর্ণাটক সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।