নয়া আইটি নিয়ম না মানলেও কোনও সংবাদ সম্প্রচারকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। নিউজ ব্রডকাস্টার অ্যাসোসিয়েশনের দাখিল করা এক মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট। সরকারকে এই নিয়ম খুব বেশি ক্ষমতা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন উচ্চ আদালতের বিচারপতি পিবি সুরেশ। পাশাপাশি তাঁর পর্যবেক্ষণ, এই নয়া নিয়ম অযৌক্তিক ভাবে অনেক ক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতা খর্ব হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, নয়া নিয়মে বলা হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে একজন কমপ্লায়েন্স অফিসার বা অভিযোগ গ্রহণকারী অফিসার নিয়োগ করতে হবে। আর তাঁকে অবশ্যই ভারতের হতে হবে। এই আওতায় মিডিয়া সংস্থাগুলিকেও রাখার কথা বলা হয়েছিল। তবে আইটি আইনে সংবাদ সংস্থার কোনও উল্লেখ নেই। এই যুক্তিতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল নিউজ ব্রডকাস্টার অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি আবেদনকারীদের অভিযোগ, এই নয়া আইন সংবিধানের ১৪ এবং ১৯(১)(জি) নম্বর ধারাকে খর্ব করছে।
এদিকে অপর এক মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, ভারতের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন না মানলে টুইটারকে কোনওরকম আইনি সুরক্ষা দেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগের জন্য টুইটারের তরফে ৮ সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছিল। তবে আদালত সেই দাবি মানেনি। এদিকে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়েই অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইটার প্রসঙ্গে বলেন, ভারতে বসবাস ও কাজ করতে গেলে দেশের নিয়ম মানতে হবে।