পুজোর পর ফের হুহু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতে ফের লকডাউন জারি না করেও জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে মরিয়া প্রশাসন। আবার ভয়, কেরলেন পুনরাবৃত্তি না বাংলায় হয়। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে আপাতত পৌরসভা ভরসা রাখতে চলেছে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের উপর। এই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের পরিধি কীভাবে নির্ধারিত হবে, তা মোটামুটি স্থির করে ফেলেছে পৌরসভা।
জানা গিয়েছে, কেউ যদি করোনা সংক্রমিত হন, সেই ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে বসাবসরত পরিবারের সদস্যরা কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় চলে যাবেন। এদিকে কোনও বহুতলে যদি একাধিক মানুষ করোনা আক্রান্ত হন, তাহলে সেই পুরো বহুতলটিকেই মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ধার্য করা হবে। এদিকে কোনও আবসনে যদি একাধিক বিল্ডিংয়ে একাধিক করোনা রোগী থাকেন, তাহলে পুরো আবাসনটিকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন বলে ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, পুজোর পর থেকেই রাজ্যে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা সংক্রমণ। এই আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যেই সল্টলেক, দমদম, বারাসতের বেশকিছু এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, জলপাইগুড়ির বেশকিছু এলাকা। এই একই পথে এবার হাঁটতে চলেছে কলকাতাও। মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের ১৪ দিন যাতায়াতে বিধিনিষেধ থাকবে। কেউ মনে করলে আরটিপিসিআর টেস্ট করে বাইরে বের হতে পারবেন।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় প্রকাশিত বুলেটিনে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২৯ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৪২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, উত্তর ২৪ পরগনায় ৩ জনের। পরিস্থিতি যাতে লাগামহীন না হয়, তার জন্য নাইট কার্ফুর উপরও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে কলকাতায়।