আয়কর রিটার্নের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবু ৩১ জুলাইয়ের পর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার পর ৫ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে অনেককেই। আয়কর আইন, ১৯৬১-র অধীনে 234F নম্বর ধারা অনুযায়ী এই টাকার জরিমানা কাটা হয়েছে। জানা গিয়েছে এই জরিমানা ভুল করে কাটা হয়েছে। নয়া আয়কর পোর্টালের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই টাকা কাটা হয়েছে। যেসব করদাতাদের এভাবে টাকা কেটেছে, তাঁদের এর প্রেক্ষিতে অনলাইনে 'রেক্টিফিকেশ রিকোয়েস্ট' জমা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে করোনা ভাইরাসের জেরে রিটার্ন ফাইলের সময়সীমা বাড়ানো হলেও জরিমানা বাবদ যে সুদ দিতে হত, তা থেকে রেহাই পাবেন না করদাতারা। সাধারণত সময়সীমার মধ্যে কোনও করদাতা যদি আয়কর রিটার্ন জমা দিতে না পারেন, তাহলে 234A ধারার আওতায় তাঁকে সুদ দিতে হয়। প্রতি মাসে এক শতাংশ হারে সুদ দিতে হয় করদাতাকে।
আয়কর রিটার্নস জমা দেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর কোনও মাসের পয়লা তারিখেও যদি সুদ দেওয়া হয়, তাহলে পুরো মাসের সুদ নেওয়া হয়। আপাতত আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলেও অগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে এক শতাংশ হারে সুদ গুণতে হবে করদাতাকে। যতদিন সময়সীমা বাড়ানো হবে, ততদিন সেই সুদ গুনতে হবে।
এদিকে আয়কর আইনের ২৩৪বি ধারার আওতায় কোনও ব্যক্তি যদি ‘অ্যাডভান্সড ট্যাক্স’ না দেন বা করের ৯০ শতাংশের কম জমা দেন, তাহলে তাঁকে এক শতাংশ হারে সুদ দিতে হয়। উল্লেখ্য, ২০৮ ধারা অনুযায়ী, কোনও অর্থবর্ষে কোনও ব্যক্তিকে যদি কর-বাবদ ১০,০০০ টাকা বা বেশি দিতে হয়, তাহলে তাঁকে ‘অ্যাডভান্সড ট্যাক্স’ দিতে হবে।