বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Law Minister's Letter to CJI on Collegium: বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রতিনিধিত্ব চেয়ে CJI-কে চিঠি আইনমন্ত্রীর

Law Minister's Letter to CJI on Collegium: বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রতিনিধিত্ব চেয়ে CJI-কে চিঠি আইনমন্ত্রীর

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু (HT_PRINT)

চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রুমা পালের ২০১১ সালের এক বিবৃতি উল্লেখ করে সুপ্রিম কলেজিয়ামে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং হাই কোর্ট কলেজিয়ামে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার 'পরামর্শ' দেন রিজিজু।

বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই বিচারক নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। প্রকাশ্যেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী এই নিয়ে বারংবার বিবৃতি দিয়ে চলেছেন। সম্প্রতি উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। এই আবহে এই বিতর্কে নয়া মোড় নিল আইনমন্ত্রীর এক চিঠিতে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখেছেন। তাতে তিনি দাবি জানান, কলেজিয়ামে যেন সরকারের প্রতিনিধিত্বও থাকে। (আরও পড়ুন: 'প্রভাব পড়বে সমাজে', বৈবাহিক ধর্ষণ ইস্যুতে শীর্ষ আদালতকে বললেন সলিসিটর জেনারেল)

চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রুমা পালের ২০১১ সালের এক বিবৃতি উল্লেখ করে সুপ্রিম কলেজিয়ামে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং হাই কোর্ট কলেজিয়ামে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার 'পরামর্শ' দেন রিজিজু। আইনমন্ত্রীর চিঠিতে দাবি করেন, ২৫ বছরের পুরনো কলেজিয়াম ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্যই তাঁর এই সুপারিশ।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ধারাবাহিক ভাবে সুপ্রিম কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আইনমন্ত্রীর কথায়, ‘কলেজিয়াম ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু ফাঁক ফোঁকড় রয়েছে, তাই মানুষ এখন সরব হচ্ছেন এই বলে যে কলেজিয়াম ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ্ব নয়।’ এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষন কৌল ও এএস ওকার বেঞ্চ সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম নিয়ে প্রশ্ন তোলা বন্ধ হয়নি। সরকারের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামে নিয়োগ ও বদলি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়। রিজিজুর দাবি ছিল, জনগণের ভোটের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করার যোগ্য। শুধুমাত্র কলেজিয়ামের পাঠানো প্রস্তাবকে মেনে নেওয়াই সরকারের ভূমিকা হতে পারে না।

এর আগে কলেজিয়াম ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে ২০১৫ সালে মোদী সরকার জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন বা এনজেএসি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সংসদে ও ১৬টি রাজ্যের বিধানসভাতেও এই বিল পাশ করানো হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই আইনকে অবৈধ আখ্যা দিয়েছিল। যা নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন