জাতির সামাজিক গঠন ভেঙে লিভ-ইনে সায় নেই। এমনই পর্যবেক্ষণ দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক মহিলা তাঁর স্বামীর থেকে সুরক্ষা চেয়েছিলেন এক মহিলা। অভিযোগকারী মহিলার অভিযোগ ছিল যে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে মহিলার সম্পর্কে হস্তক্ষেপ করছে তাঁর স্বামী। তবে সেই মহিলার আবেদন খারিজ করে তাঁকে ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতেও বলা হল হাই কোর্টের তরফে।
এদিকে পরকীয়া বেআইনি না হলেও এদিনআদালতের তরফে অভিযোকারী মহিলাকে বলা হয়, হিন্দু বৈবাহিক আইনের অধীনে বিয়ে করা একজন মহিলা কখনও এরকম বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্যে তাঁর স্মামী থেকে সুরক্ষা কবচ চাইতে পারেন না। তবে স্বামী যদি কোনও সম্পত্তিতে বলপূর্বক ঢুকে থাকেন, সেক্ষেত্রে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যায়।
এদিকে অপর এক মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ দিয়ে জানায় ১৫ বছরের বেশি বয়সি স্ত্রীর সঙ্গে যৌনতা ধর্ষণ নয়। যেখানে একদিন আগেই কেরল হাই কোর্ট জানিয়েছিল যে বৈবাহিক ধর্ষণ বিবাহ বিচ্ছেদের সঙ্গত কারণ। মোরাদাবাদের বাসিন্দা খুশাবে আলি নামে এক ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে তাঁর নাবালিকা স্ত্রীকে পণের জন্য অত্যাচার ও বিকৃত যৌনতার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন এই পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়।
ভারতীয় দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৩৭৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনও মহিলার সঙ্গে তাঁর সম্মতি ছাড়া যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা ধর্ষণ। তবে পনেরো বছর বা তার বেশি বয়সি স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে ধর্ষণের আওতার বাইরে রাখা হয়। পরে ২০১৩ সালে ৩৭৫ ধারাটি সংশোধন করা হয়। সংশোধনীতে যৌনতায় সম্মতির বয়স ১৮ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে পনেরো বছর বা তার বেশি বয়সি স্ত্রীর সঙ্গে যৌনতা সংক্রান্ত আইনে এখনও কোনও পরিবর্তন হয়নি। আর এর ফাঁক দিয়েই গলে যাচ্ছে অনেক অভিযুক্ত।