Lockdown 2.0: পথ দেখালেন বিজয়ন? দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে ৭.৫ দিনে, কেরালায় লাগছে ৭২.২ দিন

কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব হল করোনার প্রতিষেধক।

দেশে কমেছে সংক্রমণের হার (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও দেশে করোনাভাইরাসের ট্রেন্ডে একাধিক ইতিবাচক দিল লক্ষ্য় করা যাচ্ছে। পরিসংখ্যান তুলে ধরে সোমবার একথা জানাল কেন্দ্র।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ক্রমশ কমছে। বিশেষত লকডাউনের আগে যেখানে ৩.৪ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল, গত সাতদিনের পরিসংখ্যানের হিসেবে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫ দিন। শুধু তাই নয়, ১৮ টি রাজ্যে জাতীয় গড়ের থেকে বেশি সময়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন, '১৯ এপ্রিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৮ টি রাজ্যে করোনা আক্রান্ত দ্বিগুণ হওয়ার হার জাতীয় গড়ের থেকেও ভালো।' যেমন - দিল্লিতে ৮.৫ দিন, কর্নাটকে ৯.২ দিন, তেলাঙ্গানায় ৯.৪ দিন, পঞ্জাবে ১৩.১ দিন, তামিলনাড়ুতে ১৪ দিন, বিহারে ১৬.৪ দিন সময় লাগছে। এছাড়াও আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, অসম, উত্তরাখণ্ড এবং লাদাখে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে ২০ দিনের বেশি সময় লাগছে। এক্ষেত্রে সবথেকে ভালো পারফরম্যান্স কেরালা ও ওড়িশার। প্রতিবেশী রাজ্যে ৩৯.৮ দিনে ও কেরালায় ৭২.২ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে।

সোমবার আরও সুখবর মিলেছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের আরও একটি জেলায় টানা ২৮ দিন করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলেনি। মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বলেন, 'পুদুচেরির মাহে ও কর্নাটকের কোডাগুর সঙ্গে আরও একটি জেলার নাম জুড়েছে, যেখানে গত ২৮ দিনে নতুন করে করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়নি। সেটি হল উত্তরাখণ্ডের পাউরি গাড়োয়াল। আরও ছ'টি জেলায় গত ১৪ দিনে নতুন করে কেউ করোনা আক্রান্ত হননি। মোট ৫৯ জেলায় এরকম ঘটনা ঘটেছে।'

একইসঙ্গে গোয়ায় সব করোনা আক্রান্তকেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভারতের পশ্চিম প্রান্তের রাজ্যে এখনও সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য। ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠার করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বলেন, 'দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ২৫৪৬ জন সেরে উঠেছেন। যা শতাংশের নিরিখে ১৪.৭৫।'

পাশাপাশি, লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের বিধির উপর গুরুত্বও আরোপ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত করোনার কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কৃত না হলেও সামাজিক দূরত্বকে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে মন্তব্য করেন আগরওয়াল।