পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে ক্রমশ চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের উপর। এই অবস্থায় শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর দায় রাজ্যের ঘাড়ে চাপাল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
শুক্রবার সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের একটি চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অভয় ভাল্লা। পরিযায়ী শ্রমিকদের হেঁটে বাড়ি না ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেন তিনি। চিঠিতে বলেন, 'আপনারা জানেন, বাস এবং বিশেষ শ্রমিক ট্রেনের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিটেয় ফেরার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। এখন নিজ রাজ্যে ফিরতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের চলাচল নিশ্চিত করা রাজ্যের দায়িত্ব। বাস বা শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের যে বন্দোবস্ত করা হয়েছে, তা পরিযায়ী শ্রমিকদের জানাতে হবে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এবং তাঁদের বোঝাতে হবে যে বাস বা ট্রেন যখন আছে, তাঁদের হেঁটে ফেরা উচিত নয়।'
পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দিনে ১০০-র বেশি 'শ্রমিক স্পেশ্যাল' ট্রেন চালাচ্ছে রেল। প্রয়োজন অনুসারে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়ানো হতে পারে। ভাল্লা বলেন, ‘তাই রাস্তায় বা রেললাইনে পরিযায়ী শ্রমিকদের চলাচল নিশ্চিত করা এবং বাস বা শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের মাধ্যমে (বাড়ি ফেরার) বিষয়টি নিশ্চিত করার আর্জি জানাচ্ছি।’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লকডাউনের পর থেকে কয়েকশো কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। পথ এবং রেল দুর্ঘটনায় অনেক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রোজই দেশের কোনও না কোনও প্রান্ত সেরকম দুর্ঘটনার খবর মিলছে। তা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধী দলগুলি। তার জেরে বিজেপি সরকারের অন্দরে চাপ বেড়েছে। এই অবস্থায় নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলার পথে হাঁটল কেন্দ্র। একইসঙ্গে জানিয়ে রাখা হল, পর্যাপ্ত ট্রেনের ব্যবস্থাও করা হবে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে শ্রমিকদের কোনও সমস্যা হলে রাজ্যের ঘাড়ে বন্দুক রাখার কাজটা কেন্দ্র সেরে রাখল মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।