ভারতে সম্প্রতী শুরু হয়েছে ‘লাউডস্পিকার রাজনীতি’। ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার বাজার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে সরব হয়েছেলিনে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে। মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার সরানো নিয়ে ‘আল্টিমেটাম’ পর্যন্ত দিয়েছিলেন তিনি। এরই মাঝে উত্তরপ্রদেশেও লাউডস্পিকার নিয়ে পদক্ষেপ করতে শরু করে। এই আবহে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান থেকে লাউডস্পিকার খুলে তা স্কুলগুলিকে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার প্রসারে ব্যবহারের জন্য এই লাউডস্পিকারগুলি দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
গোরক্ষপুর এবং প্রয়াগরাজে ইতিমধ্যেই মন্দির, মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার খুলে তা স্কুলকে দান করার কাজ শুরু হয়েছে। শীঘ্রই লখনউতেও এই কাজ শুরু হবে বলে জানান জেলা শাসক অভিষেক প্রকাশ। এদিকে গোরক্ষপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় কিরণ আনন্দ বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে, ধর্মীয় স্থান থেকে লাউডস্পিকার সরিয়ে নিয়ে আমরা তা নগর ক্ষেত্রে অবস্থিত গোরক্ষনাথ কন্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হস্তান্তর করেছি।’ স্কুলকে লাউডস্পিকার দেওয়ার ব্যাখ্যা হিসেবে আনন্দ বলেছেন যে স্কুলগুলি এই লাউডস্পিকারগুলিকে শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে। স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া, তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে উৎসাহিত করা, বিভিন্ন সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের অবহিত করার মতো কাজ করা যাবে এই লাউডস্পিকারের মাধ্যমে।
এদিকে লাউডস্পিকার হস্তান্তরের সেই মুহূর্তকে ক্যামেরা বন্দি করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন গোরক্ষপুরের বিজেপি সাংসদ রবি কিষাণ। তাঁর ছবিতে দেথা যাচ্ছে গোরক্ষপুর কন্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের হাতে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা এই লাউডস্পিকার তুলে দিচ্ছেন। টুইট বার্তা রবি লেখেন, ‘গোরক্ষনাথ মন্দির থেকে সরানো লাউডস্পিকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দান করার উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি এবং এই পদক্ষেপের প্রশংসা করছি।’
প্রয়াগরাজে মন্দির ও মসজিদের ধর্মীয় প্রধানরাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাউডস্পিকার দান করতে শুরু করেছেন। এগুলি স্কুলের প্রার্থনা সমাবেশ এবং খেলাধুলা সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের সময় ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এভাবেই বাহাদুরগঞ্জ এলাকার শাহি মসজিদের ইমাম আলি মিয়াঁ শাহগঞ্জের সার্কেল অফিসার সত্যেন্দ্র কুমার তিওয়ারির উপস্থিতিতে নূরজাহান ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ব্যবস্থাপক হাজি আশফাকের হাতে একটি লাউডস্পিকার তুলে দিয়েছিলেন। একইভাবে, প্রয়াগরাজের পুরানো শহর এলাকার কল্যাণী দেবী মন্দির থেকে সরিয়ে নেওয়া একটি অতিরিক্ত লাউডস্পিকার দারাগঞ্জে অবস্থিত দুর্গা প্রসাদ শাস্ত্রী স্কুলে দান করা হয়।