বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Madhumati Bridge: পদ্মার পর এবার মধুমতী সেতু উদ্বোধনের পালা, ব্যবহার করতে কত টাকা লাগবে

Madhumati Bridge: পদ্মার পর এবার মধুমতী সেতু উদ্বোধনের পালা, ব্যবহার করতে কত টাকা লাগবে

মধুমতী সেতু

Madhumati Setu: খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে কালনা সেতু। মধুমতী নদীর উপর তৈরি হয়েছে এই ছয় লেনের সেতু। এটা ব্যবহার করতে গেলে দিতে হবে কত দাম?

পদ্মা সেতুর পর আরও একটি সেতু উদ্বোধন হতে চলেছে বাংলাদেশে। এই সেতুটির নাম কালনা সেতু। মধুমতী নদীর উপর তৈরি করা হয়েছে এই ছয় লেনের ব্রিজটি। তবে যতই সাধারণ মানুষ ব্রিজটিকে কালনা সেতু নামে চিনুক, শেখ হাসিনা এই ব্রিজের নাম দিয়েছেন মধুমতী সেতু। এমনটাই জানানো হয়েছে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

জানা গিয়েছে আগামী মাসে এই সেতুর উদ্বোধন করা হতে পারে। চলতি বছরের জুন মাসে উদ্বোধন করা হয়েছে পদ্মা সেতুর। এবার চালু হবে এই সেতুটি যার কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণ এবং পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ আরও সহজ হবে।

বর্তমানে এই সেতু ব্যবহার করার জন্য কত টাকা টোল ট্যাক্স হিসেবে দিতে হবে সেটা ঠিক করছে বাংলাদেশের সরকার। এই বিষয় নিয়ে একটা নোটিশ জারি করা হয়েছে। এবং টোল ট্যাক্সের দাম কত হবে সেটা নির্ধারণ করবে সড়ক পরিবহন এবং সেতু মন্ত্রক। যতদূর জানা গিয়েছে ভারী যানবাহন এই ব্রিজের উপর দিয়ে যেতে চাইলে দিতে হবে ৫৬৫ টাকা, বড় ট্রাকের জবু ৪৫০ টাকা, মাঝারি ট্রাকের জন্য ২২৫ টাকা, বড় বাস হলে ২০৫ টাকা, ছোট ট্রাকের জন্য ১৭০ টাকা, মিনিবাস হলে ১১৫ টাকা, সিডান গাড়ি হলে ৫৫ টাকা, ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, এই ব্রিজের উপর দিয়ে কোনও সাইকেল চালকও যদি যেতে চান তাহলে তাঁকেও দিতে হবে টোল ট্যাক্স, ৫ টাকা দিতে হবে তাঁকে এই জন্য।

এই সেতু নির্মাণ আধিকারিকরা জানিয়েছেন যানবাহন চলাচল করার জন্য সেতুটি এখন প্রস্তুত। তবে এখন ল্যাম্প পোস্ট লাগানোর চলছে সেখানে সঙ্গে টোল প্লাজার কাজও চলছে। আর মাসখানেকের মধ্যে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন। লোহাগড়ার কালনা পয়েন্টে এই সেতু তৈরি করা হয়েছে। এর একদিকে আছে কাশিয়ানী উপজেলা, আরেকদিকে আছে লোহাগড়া। এটি একটি ছয় লেনের সেতু যেটা কিনা এশিয়ান হাইওয়ের একটি অংশ।

মধুমতী সেতুর দৈর্ঘ্য হল ৬৯০ মিটার এবং প্রস্থ হল ২৭.১০ মিটার। ৯৫৯.৮৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এই সেতু তৈরি করতে। ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা এই সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। একবার এই সেতু চালু হয়ে গেলে তার মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে নাড়াইল, বেনাপোল, যশোর, ইত্যাদির দূরত্ব অনেকটাই কমে যাবে।

বন্ধ করুন