একটি বাড়িকে চার্চে রূপান্তরিত করা নিয়ে এক মামলার জেরে মাদ্রাজ হাইকোর্ট দিয়েছে বড় বার্তা। বিচারপতি সিভি কার্তিকায়েনের নেতৃত্বে আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলা চলছিল। সেখানেই বিচারপতি বলেন, ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের গর্ব নিয়ে চলে এদেশ। এই দেশ স্বীকৃতি দেয় ধর্মের স্বাধীনতাকে। সেই প্রেক্ষিতেই তিনি বলেন, অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা দেখানোর রীতি মেনে চলা প্রয়োজন সকল হিন্দুর।
ধর্মীয় স্থান সংক্রান্ত মামলায় হিন্দুদের উদ্দেশে, 'সহিষ্ণুতা নিজের ধর্মের প্রতি, একই সঙ্গে অপর ধর্মের প্রতি' মেনে চলার বার্তা দিয়েছে আদালত। একটি বাড়িকে চার্চে রূপান্তরিত করা নিয়ে এক পিটিশনার আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই পিটিশনারের উদ্দেশে আদালত জানিয়েছে, সকলের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করার কথা। আদালত বলেছে, 'পিটিশনারের শেখা উচিত সকলের সঙ্গে মিলেমিশে একসঙ্গে বসবাস করার বিষয়টি। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য নিয়ে গর্বিত এই দেশ। ফলে ঐক্যের মধ্যে বিভেদ মেনে নেওয়া হবে না।' আদালত জানিয়েছে, যে আবেদনকারী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাঁকে শিখতে হবে তাঁর আশপাশে থাকা ভিন্ন জাতি, ধর্ম,শ্রেণির মানুষের সঙ্গে একসাথে বসবাস কীভাবে করতে হয়। আশপাশের মানুষ যে ধর্মেরই হোন না কেন, তা মেনে নিতে হবে আবেদনকারীকে।
উল্লেখ্য, একটি বাড়িকে চার্চে রূপান্তরিত করা নিয়ে জেলার প্রশাসনের অনুমোগনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে আবেদন করেন ওই পিটিশনার। উল্লেখ্য, ওই আবেদনকারী একজন হিন্দু। তিনি জানান, চার্চের প্রার্থনা পর্বের সময় লাউড স্পিকারে তাঁর সমস্যা হচ্ছে। এমনকি তাঁর বাড়ির দিকে মুখ করে চার্চে বসানো রয়েছে সিসিটিভি। যা নিয়েও অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন পিটিশনার। এই বিষয়টি নিয়ে আদালত জানিয়েছে, লাউডস্পিকারে প্রার্থনাপর্ব যেন চালানো না হয়। এভাবে প্রার্থনার অনুমতি দেয়নি আদালত। আবেদনকারীর অভিযোগ ছিল, বসতি এলাকায় চার্চ তৈরি হওয়াতে জীবনযাত্রায় অসুবিধা হচ্ছে তাঁর। তবে তার প্রেক্ষিতে আদালত, জানিয়েছে, যে এলাকার কথা ওই পিটিশনার বলছেন, সেই এলাকায় একটি মন্দিরও রয়েছে।