শিব সেনার সঙ্গে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওতের সংঘাতের জেরে অযোধ্যায় আর স্বাগত নন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ঘোষণা করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও মন্দিরনগরীর পূজারীমণ্ডল। কঙ্গনাকে সমর্থন জানালেন অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরের নাগা সন্ন্যাসিরাও।
গত বুধবার মুম্বইয়ে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে কঙ্গনার অফিসের একাংশ ভেঙে দেয় বৃহন্মুম্মবই পুর নিগম। ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের উদ্দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপ দাগেন অভিনেত্রী।
হনুমানগড়ি মন্দিরের পূজারী রাজু দাস বিএমসি-র পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘উদ্ধব ঠাকরে ও শিব সেনাকে আর অযোধ্যায় স্বাগত জানানো হবে না। এবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী অযোধ্যার সন্ন্যাসিদের কড়া বিরোধিতার মুখে পড়বেন।’
তাঁর অভিযোগ, ‘অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কালক্ষেপ করেনি মহারাষ্ট্র সরকার। অথচ এখনও পর্যন্ত পালঘরে খুন হওয়া দুই সাধুর আততায়ীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি মহারাষ্ট্র প্রশাসন।’
উল্লেখ্য, এর আগে পালঘরের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান নাগা সন্ন্যাসি ও দেশের ১৩টি মুখ্য হিন্দু মঠের নীতি নির্ণায়ক সংগঠন অখিল ভারতীয় অখণ্ড পরিষদের সদস্যরা।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আঞ্চলিক মুখপাত্র শরদ শর্মা জানিয়েছেন, ‘রানাওতের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। কোনও কারণ ছাড়া এক মহিলাকে আক্রমণ এবং তাঁর অফিস ভাঙচুর করার মতো পদক্ষেপ শিব সেনার থেকে প্রত্যাশিত নয়। জাতীয়তাবাদকে সমর্থন করা এবং মুম্বইয়ের ড্রাগ মাফিয়াদের মুখোশ খুলে দেওয়ায় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ শানানো হচ্ছে।’
অন্য দিকে, অয়োধ্য সন্ত সমাজের প্রধান মোহন্ত কানহাইয়া দাস সমাজ-বিরোধীদের আড়াল করার অভিযোগ তুলে বলেছেন, ‘এখন আর উদ্ধব ঠাকরেকে স্বাগত জানাবে না অযোধ্যা। শিব সেনা কী কারণে কঙ্গনা রানাওতকে আক্রমণ করছে, তা সবাই বুঝতে পারছে। এর মধ্যে কোনও রহস্য নেই। বালাসাহেব ঠাকরের নেতৃত্বে থাকা দলেরসঙ্গে এখনকার শিব সেনার কোনও মিল নেই।’