তৃণমূল এমপি মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে এবার নয়া মোড়। রেলমন্ত্রী তথা কমিউনিকেশন অ্য়ান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি বিষয়ক মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবার বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবেকে চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন,
ন্যাশানাল ইনফরমাটিক্স সেন্টার সার্ভিস প্রোভাইডার হিসাবে কাজ করে। যারা এনআইসি থেকে সহায়তা পায় তাদের নির্দেশেই কাজ করে এনআইসি। ভারত সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় সার্ভিস প্রোভাইডার হিসাবে কাজ করে এই এনআইসি।
ইউজার অ্য়াকসেস, ওয়েবসাইট পলিসি সবটাই নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট সংস্থার উপর। লোকসভার ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে লোকসভার সচিবালয়ের এনআইসি থেকে পরিষেবা পাওয়া যায়।
সেই সঙ্গেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে আপনি এর আগের চিঠিতে যেটা উল্লেখ করেছেন সেটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লোকসভার এথিক্স কমিটি গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
এনআইসি লোকসভা সচিবালয় থেকে কোনও নির্দেশ পেলে তৎক্ষনাৎ সাড়া দেবে। এই ঘটনার তদন্তে এনআইসি পুরো সহযোগিতা করবে। জানিয়ে দিয়েছেন রেলমন্ত্রী তথা কমিউনিকেশন অ্য়ান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি বিষয়ক মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। খবর এনডিটিভি সূত্রে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, সেটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকের মতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে বিজেপির সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ তুলেছিলেন, সংসদে শিল্পপতি গৌতম আদানি ও নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার জন্য শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির থেকে ‘দামি উপহার ও নগদ’ নিয়েছিলেন মহুয়া। এরপরই ঝড় ওঠে জাতীয় রাজনীতিতে।
তবে মহুয়া ইস্যুতে সতর্ক হয়ে পা ফেলছে তৃণমূল। মহুয়া ইস্যুতে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের কুণাল ঘোষ ও ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য উঠে এসেছে। ‘ক্যাশ ফর কোয়ারি’ বিতর্কে নাম জড়িয়েছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের। এই অবস্থায় তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান জানিয়েছেন, মহুয়াকে নিয়ে সংসদের এথিক্স কমিটির সিদ্ধান্ত সামনে আসলে তাঁর বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে তৃণমূল।
আসলে নিশিকান্ত গোটা বিষয়টি স্পিকারকে জানিয়েছিলেন। এরপর স্পিকার গোটা বিষয়টি এথিক্স কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেয়। এথিক্স কমিটি এনিয়ে তদন্তও করছে। তবে তার মধ্যে এনআইসির ভূমিকা জানিয়ে দিলেন আইটি মন্ত্রী।