মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের স্ত্রী অমৃতা ফড়নবীশ তখন ছিলেন বাবা রামদেবের পাশে বসে। সেই সভাতেই বাবা রামদেব মহিলাদের পোশাক নিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োয় দেখা যায় বাবা রামদেব মহিলাদের উদ্দেশে বলছেন, ‘ আপনাদের শাড়িতেও ভালো লাগে, অমৃতাজির মতো সালোয়ার কামিজেও ভালো লাগে, আর আমার মতো কিছু না পরেও ভালো লাগে… ।’
বাবা রামদেবের এই মন্তব্য ঘিরে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। দিল্লি মহিলা কমিশন ধর্মগুরু-ব্যবসায়ী বাবা রামদেবকে এই ইস্যুতে ক্ষমা চাইতে বলেছে। উল্লেখ্য, যে যোগ সভায় রামদেব ওই মন্তব্য করেছেন সেখানে অমৃতা ফড়নবীশ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের ছেলে ও সাংসদ একান্ত শিণ্ডে। বাবা রামদেবের এহেন মন্তব্য নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মহুয়া মৈত্র তাঁর কটাক্ষে ২০১১ সালের রামদেবের এক ঘটনাকে তুলে ধরেন। যে সময় নাটকীয়ভাবে বাবা রামদেব পালাতে গিয়ে মহিলাদের পোশাকে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। সেই ঘটনাকে তুলে ধরে মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘ এবার বুঝতে পারলাম কেন পতঞ্জলি বাবা মহিলাদের সালওয়ার কামিজে পালাতে গিয়েছিলেন রামলীলা ময়দান থেকে। তিনি বলেছেন, তিনি পছন্দ করেন শাড়ি, সালওয়ার আর…’। এরসঙ্গেই বাবা রামদেবের ‘দৃষ্টিভঙ্গি একমুখী’ বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মহুয়া মৈত্র।
এদিকে, দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল ওই ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখেন, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর পাশে বসে বাবা রামদেব যা বলেছেন, তা অস্বস্তিকর ও নিন্দাজনক। তিনি লেখেন, ‘সমস্ত মহিলারা এতে আঘাত পেয়েছেন, বাবা রামদেবজি যেন একটি বিবৃতিতে দেশের কাছে ক্ষমা চান।’ এদিকে, বিষয়টি নিয়ে মারাঠা রাজনীতি তোলপাড়। সেখানে শিবসেনার উদ্ধবপন্থী শিবিরের তরফে সঞ্জয় রাউত প্রশ্ন তোলেন কেন পাশে বসেও অমৃতা ফড়নবীশ ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানাননি? এই ঘটনার পর বাবা রামদেবের তরফে বক্তব্য উঠে আসে কি না তার অপেক্ষায় বিভিন্ন মহল।