কাজিরাঙা ন্য়াশানাল পার্ক ও টাইগার রিজার্ভের কাছেই অসমের কার্বি আলং জেলা উদ্ধার হয়েছে দুটি হাতির দেহ। একটি গর্ভবতী ছিল, অপরটি হস্তিশাবক। এদিকে ময়নাতদন্তের পর জানা গিয়েছে সম্ভবত বিষক্রিয়ায় মৃত্য়ু হয়েছে এই দুটি হাতির। তবে চলতি বছরে অসমে হাতি মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগ বৃদ্ধির পক্ষে যথেষ্ট। পরিসংখ্য়ান বলছে অসমে চলতি বছরে ৭০টি হাতির মৃত্য়ু হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে এর মধ্য়ে ২৪টি হাতির মৃত্য়ু স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে। ৩টি তড়িদাহত হয়ে মারা গিয়েছে। তিনটির মৃত্য়ু হয়েছে বিষক্রিয়ায়। ৪টি ট্রেনে কাটা পড়ে, ১টি জখম হয়ে ও ১৮টি বজ্রাঘাতে ও অপর ১৭টি হাতির মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
এদিকে অভিজ্ঞ মহলের দাবি, এই যে হাতির মৃত্য সেই পরিসংখ্যানটা কিছুটা একপেশে।প্রতিবার শীতের সময় জঙ্গল থেকে খাবারের খোঁজে হাতির দল বেরিয়ে পড়ে। এবছর হাতির হানায় অন্তত ৬০জনের মৃত্যু হয়েছে অসমে। অসমের বন ও পরিবেশমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য বলেন, এটা ঠিকই যে অসমে মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘাত চরমে গিয়েছে। দুপক্ষেরই মৃত্যু হচ্ছে। আমরা বার বার সাধারণ মানুষকে বলছি হাতির সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যাবেন না। অন্যদিকে ক্ষতিপূরণের যাবতীয় ব্যবস্থা আমরা করছি। কিন্তু মানুষ শুনতেই চাইছেন না। বনদফতরের দাবি, হাতির হানা রুখতে সমণ্বয়কারী কমিটি, রেলের সঙ্গে বনদফতরের মিটিং করা সহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।