আদিবাসী ব্যক্তির মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশে। সেই ঘটনার রেশ ফুরোয়নি এখনও। এবার গোয়ালিয়রের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে এক ব্যক্তিকে একের পর এক থাপ্পড় মারা হচ্ছে। তাকে বলতে বাধ্য় করা হচ্ছে গোলু গুর্জর বাপ হ্যায়। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, এক ব্যক্তিকে অপরজনের জুতো চাটতে বাধ্য করা হচ্ছে। সেই মধ্য়প্রদেশের গোয়ালিয়রে একটি চলন্ত গাড়ির মধ্য়ে এই ঘটনা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। এরপরই ওই ব্যক্তিকে চটি দিয়ে বেদম মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
পিটিআই সূত্রে খবর, ওই নির্যাতিত ব্যক্তি ও অভিযুক্ত ব্যক্তি গোয়ালিয়র জেলার ডাবরা শহর এলাকার বাসিন্দা। সেই ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একটি গাড়ির মধ্য়ে জুতো দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে অপর এক ব্যক্তিকে। এরপর তাকে বলতে বাধ্য় করা হচ্ছে গলু গুর্জর বাপ হ্যায়।
এদিকে সেই ভিডিয়োতে একেবারে ভয়াবহ ঘটনা সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ওই ব্যক্তি একের পর এক চড়, থাপ্পড় মারছে। এরপর তার জুতো চাটানো হয়। এমনকী জুতো দিয়েও তাকে মারধর করা হয়। দেখুন সেই ভিডিয়ো।
এদিকে সেই ঘটনায় মধ্যপ্রদেশের হোম মিনিস্টার নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, এই ঘটনার জেরে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডাবরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিবেক কুমার শর্মা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছে একটি গাড়ির মধ্যে এক ব্যক্তিকে থাপ্পড় মারা হচ্ছে। সেই ভিডিয়ো ক্লিপটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ভারতীয় দণ্ডবিধিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে অপহরণ ও মারধর করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে কিছুদিন আগে অপর একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল এক আদিবাসী ব্যক্তির মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া হয়েছে। তাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়। তবে ঘটনার খবর পেয়েই নড়েচড়়ে বসে পুলিশ। অভিযুক্ত প্রবেশ শুক্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে সূত্রের খবর, ওই নির্যাতিত ব্যক্তি অবশ্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, প্রবেশ শুক্লাকে মুক্তি দেওয়া হোক। কারণ তিনি তার ভুল বুঝতে পেরেছেন। তবে তিনি বর্তমানে জেলে রয়েছেন। তার বাড়ির একাংশও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে নির্যাতিত ব্যক্তি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন প্রবেশ ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাকে মুক্তি দেওয়া হোক।