ব্যাঙ্কের অ্য়াকাউন্ট থেকে আচমকাই উধাও ১৪ হাজার টাকা। কার্যত এটিএম প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন ওই গ্রাহক। এরপর তিনি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন। তবে এবার তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। সূত্রের খবর পার্থ শাহ নামে ওই ব্যক্তি আমেদাবাদের বাসিন্দা। ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পালদি শাখায় তাঁর একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ২০১৪ সালের অগস্ট মাসে দেখা যায় মুম্বইয়ের ডক ইয়ার্ড এলাকায় স্টেট ব্য়াঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এটিএম থেকে ১৪ হাজার টাকা তোলা হয়। সেই টাকাটি তাঁর অ্য়াকাউন্ট থেকেই কাটা হয়েছিল।
এদিকে আশ্চর্যজনক বিষয় পার্থ শাহ সেই সময় আমেদাবাদেই ছিলেন। তাঁর ডেবিট কার্ডটিও তাঁর সঙ্গেই ছিল। তিনি তাঁর অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত কোনও তথ্য কাউকে দেননি। তা সত্ত্বেও তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যায়। টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য় তিনি ব্য়াঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানান। কিন্তু কেউ তাঁর আবেদনে সাড়া দেননি। এরপর তিনি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন।
এদিকে ওই টাকা তোলার দায় কার তা নিয়ে শুরু হয় চাপানউতোর। ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়ে দেয় এসবিআইয়ের এটিএমের ব্যাপার। যার জেরে এই কাণ্ড হয়েছে। অন্য়দিকে এসবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি এটি ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার দায়। কারণ অ্য়াকাউন্টটি তাদের।
এদিকে পরবর্তী সময়ে দেখা যায় সেদিন মাঝরাতের পরে একজন ব্যাক্তি এটিএমে ঢুকে ৪০ মিনিট ছিল। সে সেদিন ১১টি ট্রান্সাকশন করেছিল। কিন্তু একজন রক্ষীকেও এটিএমে দেখা যায়নি। এরপরই কমিশন এসবিআই ও ব্য়াঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে যৌথভাবে এই ঘটনায় দায়ী করেছে। ১৪ হাজার টাকা, ৭ শতাংশ সুদ, ৩হাজার টাকা খরচ ও ৩ হাজার টাকা ভোগান্তির জন্য় ফেরৎ দেওয়ার জন্য দুই ব্যাঙ্ককেই নির্দেশ দিয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত।