রামমন্দির প্রাণপ্রতিষ্ঠা নিয়ে পোস্ট করেছিলেন কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের কন্য়া। তার জেরেই এবার কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার ও তাঁর কন্য়া সুরন্য়া আইয়ারকে বাড়ি খালি করার জন্য় নোটিশ দেওয়া হল। দিল্লির জাংপুরা এলাকায় তাঁদের বাড়ি রয়েছে। সেই বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য় চিঠি দিয়েছে রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্য়াসোসিয়েশন। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অন্য আবাসিকদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগে এমন কাজ করবেন না। খবর এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে কোনও আবাসিকের মন্তব্যের জেরে কলোনির শান্তিতে বিঘ্ন ঘটলে অথবা আবাসিকদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগলে এটা আমরা তারিফ করতে পারি না।
যদি আপনার রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রতিবাদ করার ইচ্ছা হয় তবে আপনি দয়া করে অন্য় কলোনিতে চলে যান। সেখানে এই ধরনের ঘৃণাকে একেবারে চোখ বুজে মেনে নেওয়া হয়। লেখা হয়েছে নোটিশে।
গত ২০ জানুয়ারি একটি পোস্ট করেছিলেন কংগ্রেস নেতার কন্য়া। ফেসবুকের সেই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রতিবাদে তিনি উপবাস করছেন। এই উপবাস হল ভালোবাসার প্রকাশ ও মুসলিম নাগরিকদের জন্য় দুঃখ প্রকাশের অঙ্গ।
এদিকে এই ফেসবুক পোস্টের পরেই শোরগোল পড়ে যায়। আবাসিকদের সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়, ওই ফেসবুক পোস্টে যা বলা হচ্ছে তা শিক্ষিত মানুষের বহিঃপ্রকাশ নয়। তাঁর এটা বোঝা দরকার রামমন্দির ৫০০ বছর পরে তৈরি হচ্ছে। সেটাও আবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে।
এদিকে আবাসিকদের অ্য়াসোসিয়েশনের তরফে বলা হয়েছে আপনি হয়তো বাক স্বাধীনতার জন্য় এসব বলছেন। তবে এটা জানতে হবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে বলা যায় বাক স্বাধীনতা চূড়ান্ত কিছু নয়। সেই সঙ্গেই উল্লেখ করা হয়েছে, মিস্টার আয়ার আপনি আপনার মেয়ের এই পোস্টের নিন্দা করুন অথবা বাড়ি ছেড়়ে দিন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনি দেশের ভালোর জন্য় রাজনীতিতে যা খুশি করতেই পারেন কিন্তু দয়া করে মনে রাখবেন যা আপনি বলেন, যে কাজ আপনি করেন সেটার উপর কলোনির ভালো মন্দ নির্ভর করে। সেকারণে আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে এই ধরনের পোস্ট বা কমেন্ট থেকে বিরত থাকুন।
গত ২২ জানুয়ারি। অযোধ্য়ায় রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। তারপর থেকে অযোধ্য়ায় কার্যত ভক্তদের ঢল নেমেছে।