বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Manipur Gangrape & Naked Parade: মণিপুরে ৩ মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ৭৭ দিন পর গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

Manipur Gangrape & Naked Parade: মণিপুরে ৩ মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ৭৭ দিন পর গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

মণিপুরের শান্তি কামনায় প্রার্থনা কলকাতায় (Hindustan Times)

গত ৪ মে ইম্ফল থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূরে কাংপোকপি জেলায় তিন মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানো হয়েছিল। তাঁদের গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো বুধবার ভাইরাল হয়। আর আজ, ঘটনার ৭৭ দিন পর ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করা হল এক রিপোর্টে।

মণিপুরে তিন মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানো এবং গণধর্ষণের মামলায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার ৭৭ দিন পর মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এদিকে টুইটার এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে সেই ভিডিয়ো সরাতে আদেশ জারি করেছে কেন্দ্র। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই এই কথা জানিয়েছে। এই নিয়ে সরকারের বক্তব্য, বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন। তাই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে ভারতীয় আইন মেনে চলতে হবে।

জানা গিয়েছে, ভাইরাল ভিডিয়োর ঘটনাটি ঘটে ইম্ফল থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূরে কাংপোকপি জেলায়। পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী, সেই ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলাদের পরিবারের দুই সদস্যকেও খুন করা হয়েছিল। এফআইআরে বলা হয়েছে, ৪ মে এক কুকি পরিবারের ৫ সদস্য আতঙ্কে বনে লুকিয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। কিন্তু পুলিশের হাত থেকে তাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ৫৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়। তারপর তিনজন নারীকে নগ্ন করিয়ে হাঁটানো হয়। ২১ বছর বয়সি এক মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তিন মহিলা কোনওরকমে পালিয়ে যান। ২১ জুন অভিযোগ দায়ের করা হয় পুলিশে।

এদিকে গতরাতে এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এই নিয়ে একটি টুইট করেন বিজেপি সাংসদ। তাতে তিনি লেখেন, 'মণিপুরে ২ জন মহিলার যৌন নির্যাতনের ভয়াবহ যে ভিডিয়ো সামনে এসেছে, তা নিন্দনীয় এবং সম্পূর্ণ অমানবিক।' স্মৃতি জানান, এই ঘটনা নিয়ে তিনি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। স্মৃতি টুইট বার্তায় লেখেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং আমাকে জানিয়েছেন যে ঘটনার তদন্ত চলছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সবকিছু করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।'

উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। রেহাই পাচ্ছে না মহিলা ও শিশুরাও।

বন্ধ করুন