নীরজ চৌহান
আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু তিনদিন পর জানা গিয়েছিল, ধৃত ব্যক্তি আদতে মেহুল চোকসি। আর্থিক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে ‘অপহরণের’ তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে ইস্টার্ন ক্যারিবিয়ান সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে একথা জানাল ডমিনিকা পুলিশ।
‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ জানিয়েছে যে গত ২৪ মে রাত ১১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ তুকেরি বে'র জেটির কাছে সন্দেহজনক অবস্থায় চোকসিকে পাওয়া যায়। সেই সময় তাঁর হাতে একটি কেনাকাটির ব্যাগ ছিল। তবে কী কারণে তিনি ডমিনিকায় এসেছেন, সেই সংক্রান্ত কোনও নথি পেশ করতে পারেননি। পরদিনই ডমিনিকায় বেআইনিভাবে প্রবেশের জন্য থানায় চোকসির বিরুদ্ধে রিপোর্ট তৈরি করা হয়। শেষপর্যন্ত ২৭ মে চোকসির ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পায় পুলিশ। তারই ভিত্তিতে জানা যায়, চোকসি আদতে ভারতে জন্মেছেন। তারপর ২৮ মে রাত ন'টা নাগাদ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়।
চোকসির আইনজীবী দাবি করেছিলেন, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) জালিয়াতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্তকে বেআইনিভাবে প্রায় ৯৬ ঘণ্টা রাখা হয়েছিল। স্থানীয় আইন অনুযায়ী, গ্রেফতারির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে পেশ করা হয়নি। হলফনামায় সেই অভিযোগ উড়িযে দিয়েছে ডমিনিকা পুলিশ। বরং পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শরীরের একাধিক জায়গায় চোট-আঘাত থাকা সত্ত্বেও চোকসি চিকিৎসা করাতে চাননি। জামাকাপড় পালটানোর জন্যও তাঁকে ৪০০ ডলার দেওয়া হয়েছিল।
তবে আদালতে দাখিল করা হলফনামায় চোকসিকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ডমিনিকা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারত থেকে পালানো, প্রত্যর্পণের মামলা দায়েরের পর যেভাবে অ্যান্টিগা থেকে পালিয়েছেন চোকসি, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। সেইসঙ্গে একটি হলফনামায় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, চোকসি দাবি করেছিলেন যে তাঁকে অপহরণ করে ডমিনিকায় আনা হয়েছে। কিন্তু ‘অপরহণের’ কোনও প্রমাণ মেলেনি। পাওয়া যায়নি কোনও বোটও।