হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মেহুল চোকসির স্ত্রীয়ের প্রীতি চোকসি দাবি করেন, অ্যান্টিগাতে তাঁর স্বামীকে অপরাধীর মতো দেখা হয়। আর এর জন্য প্রীতি অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনকেই দোষারোপ করেছেন। প্রীতির অভিযোগ, গ্যাস্টন মেহুলকে নিয়ে সাম্প্রতিককালে যেসব মন্তব্য করেছেন, তাঁর জন্যই এই পরিস্থিতি। পাশাপাশি প্রীতি দাবি করেন, অ্যান্টিগা সরকারের উচিত তাদের নাগরিককে (মেহুল) দেশে ফিরিয়ে আনার উপর নজর দেওয়া উচিত। পাশাপাশি তাঁর আশঙ্কা, যদি মেহলকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কা তৈরি হবে।
এদিকে এদিন ডমিনিকার আদালতে মেহুলের মামলার শুনানি। কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই-সহ বিভিন্ন দফতরের ৮ সদস্যের একটি আধিকারিক-দল পাঠিয়েছে ডমিনিকায়। সেখানে পলাতক হিরে ব্যবসায়ী টাকা তছরূপের মামলায় অভিযুক্ত আর এখনও ভারতীয়, এই হাতিয়ারকে কাজে লাগিয়ে তাকে ভারতে ফেরানোর জন্য লড়বে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের দাবি, অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নিলেও ভারতের নাগরিকত্ব ছাড়েননি পলাতক ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। তাই আইনত সে এখনও ভারতীয়। এই যুক্তিতে তাকে ডমিনিকা থেকে দেশে দ্রুত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, ২০০৯-এর নাগরিকত্ব আইনের ২৩ নম্বর অনুচ্ছেদের আওতায় একজন ভারতীয়কে নাগরিকত্ব ছাড়ার কথা একটি বিবৃতিতে জানাতে হবে আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই বিবৃতিকে অনুমোদন দেবে।
এদিকে মেহুলের আইনজীবীর দাবি, ভারতীয় সংবিধানের ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনও ভারতীয় যে কোনও কারণে অন্য দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানালে সে আর ভারতীয় নাগরিক থাকে না। তার জন্য আলাদা কোনও আইনি পদ্ধতির দরকার নেই। তাই মেহুলের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে ভারতের এই দাবি অমূলক।