ব্রিটেনের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিক প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। দিওয়ালির দিন ঋষি এই ইতিহাস গড়তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ট্রেন্ড’ করতে শুরু করেন ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার আশিস নেহরা। আশিস এবং ঋষির চেহরার মিলের কারণেই মিম-এর বন্যা বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
রাহুল বর্মণ নামক এক টুইটার ব্যবহারকারী আশিস নেহরার এক নাচের ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখেন, ‘আশিস নেহরাজি আপনাকে শুভেচ্ছা। আইপিএল জেতার পর এবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন।’ ডিজে সিং নামক এক টুইটার ব্যবহারকারী ঋষি এবং আশিসের ছবি পাশাপাশি পোস্ট করে লেখেন, ‘নিশ্চিত ভাবে আশিস নেহরা এবং ঋষি সুনক কুম্ভের মেলায় হারিয়ে যাওয়া দুই ভাই।’ গৌরাঙ্গ ভরদওয়া নামক একজন বিরাট কোহলির সঙ্গে আশিস নেহরার আদ্যিকালের এক ছবি পোস্ট করেন, যেখানে বিরাট তখনও স্কুলের পড়ুয়া। কোনও এক অনুষ্ঠানে বিরাট কোহলিকে আশিস নেহরা থেকে পুরস্কার নিতে দেখা যাচ্ছে সেই ছবিতে। ক্যাপশনে গৌরাঙ্গ লেখেন, ‘ঋষি সুনকের সঙ্গে বিরাট কোহলি।’ এদিকে কৌস্তব দাসগুপ্তা নাক একজন লেখেন, ‘ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য আশিস নেহরাকে শুভেচ্ছা। এবার কোহিনূরকে বাড়ি নিয়ে আসুন।’
এদিকে ঋষি এবং আশিস নেহরার চেহরার সাদৃশ্যকে কাজে লাগিয়ে কোহিনূর ভারতে ফেরানোর ‘ছক’ কষে ফেলেন। রামুদু নামক এক টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, ‘দেশে কোহিনূর ফেরানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমার কাছে। ঋষি সুনক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলে তাঁকে ভারতে আমন্ত্রণ জানানো হোক। নিজের শ্বশুর শাশুড়ির সঙ্গে যখন তিনি বেঙ্গালুরুতে দেখা করতে যাবেন তখন তিনি যানজচটে ফেসে যাবেন। আর তখনই তাঁকে অপহরণ করে নেওয়া হোক। এরপর তাঁর বদলে আশিস নেহরাকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। এরপর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কোহিনূৎ ফিরিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত বিল পাশ করানো হোক।’ এদিকে অভিষের মনু সিংভি একটি টুইট করে লেখেন, ‘যদি নারায়ণ এবং সুধা মূর্তি দশ নম্বরে (১০ ডাউনিং স্ট্রিট) গিয়ে থাকেন, তাহলে সেটাকে তিনমূর্তি (ঋষির স্ত্রী অক্ষতার পদবীও মূর্তি) ভবন বলা যাবে।’