ভাবা যায়! পুলিশ কর্তারই ফোন তুলে চম্পট দিল দুষ্কৃতী। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই হয়েছে অসমে। ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেল ( ল অ্যান্ড অর্ডার) বিবেক রাজ সিং মাজার রোড এলাকায় মর্নিং ওয়াক করছিলেন। সেই সময় রবিবার বাইকে চেপে দুষ্কৃতীরা এসেছিল। পুলিশের সদর দফতরের কাছেই তিনি প্রাতঃভ্রমণ করছিলেন। সেই সময় তার মোবাইল ফোনটি নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী।
এদিকে ওই এলাকায় একাধিক আইপিএস আধিকারিকের বাংলো রয়েছে। গুয়াহাটি পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার( পানবাজার) পৃথিবী রাজখোয়া পিটিআইকে জানিয়েছেন, পল্টনবাজার থানা এলাকার ঘটনা। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
এদিকে গোটা ঘটনায় পুলিশ মহল কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছে। কারণ পুলিশের ডিআইজির কাছ থেকেই যদি ফোন নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী, তবে সাধারণ মানুষের কী হবে?
পল্টনবাজার থানার পুলিশ এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তবে একাধিক পুলিশ কর্তা এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি। কারণ গোটা ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। কারণ যে জায়গায় এই ঘটনা হয়েছে সেখানে পুলিশের একেবারে পদস্থ কর্তাদের অফিস রয়েছে। মাজার রোড এলাকায় একাধিক আইপিএস থাকেন। মোটামুটি দিনের বেশিরভাগ সময়ই এখানে কড়া পাহারা থাকে। একাধিক পুলিশকর্তার গাড়ি এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। সেক্ষেত্রে এই ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবে এলাকায় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ উচ্চ পদমর্যাদার কোনও পুলিশ আধিকারিকের কাছ থেকে ফোন তুলে নিয়ে যদি তারা পালিয়ে যেতে পারে তবে সাধারণ মানুষের কী হবে?
এদিকে দুষ্কৃতীরা কতটা বেপরোয়া হলে তবে এই কাজ করা যায় তা নিয়েও অনেকেই হতবাক। এদিকে ওই দুষ্কৃতীর অন্য কোনও মতলব ছিল কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। কারণ একজন পুলিশ কর্তার ফোনে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ফোন হাতিয়ে নিয়ে সে অন্য কিছু করার চেষ্টা করছিল কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। তবে দুষ্কৃতীদের খোঁজে জোর তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রযুক্তির মাধ্য়মেও ফোনের লোকেশন বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।