বর্ষার ঘাটতির কারণে দেশের খারিফ শস্যের চাষ, ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। এমনই আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। এই প্রসঙ্গে আইএমডি প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, তিনি আশা করছেন যে, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টির অঝোর ধারায় ভিজবে মাটি।
এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষার প্রভাব বাড়তে-কমতে থাকে। প্রাকৃতিক এই স্টপ-অ্যান্ড-স্টার্ট চক্র এখন থিতিয়ে পড়েছে। সে কারণে শুরুতে যে অঝোর ধারায় বৃষ্টিপাত হয়েছিল, সেই তীব্রতায় ছেদ পড়েছে। ফের তা সক্রিয় হতে সময় লাগছে। এই বিলম্বই অন্য দিক থেকে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষকদের কাছে।’
তিনি জানিয়েছেন, এই বৃষ্টিই এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম দেশের অর্থনীতির প্রাণ। মৃত্যুঞ্জয়বাবু আরও বলেন, ‘বৃষ্টির এই পুনরুজ্জীবন প্রক্রিয়ায় যে সময় লাগছে, সেটাই উদ্বেগের বিষয়। কারণ, ধানের মতো শস্য এই সময় চাষ করা হয়। সেক্ষেত্রে ধানকে জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ বৃষ্টি চক্রের এই প্রক্রিয়া যে হারে কমছে, সেক্ষেত্রে যা আশা করা হচ্ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগছে। বৃষ্টির এই স্টপ-অ্যান্ড-স্টার্ট প্রক্রিয়া দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই প্রক্রিয়া ৮০ শতাংশের বেশি জলাশয় পুনরায় ভরতে সাহায্য করে। যা পানীয়, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সেচের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
অবশ্য আশা যুগিয়েছেন জয়পুরের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জিত সিং সিন্ধু। তিনি বলেন, ‘ মাটিতে বীজ পোঁতার প্রথম সময় এখন। বেশিরভাগ খরিফ শস্যের বীজ পুঁততে হয় জুলাইয়ের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে। সেক্ষেত্রে আমাদের হাতে আরও ১৫ দিন সময় রয়েছে। সুতরাং এখনই এবিষয়ে চিন্তার কোনও কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। তবে যেসব অঞ্চলে সেচের ব্যবস্থা নেই, সেখানে প্রভাব পড়বে।’ তিনি জানিয়েছেন, প্রাক-বর্ষায় ভাল পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছিল। সেকারণে মাটিতে আর্দ্রতার মাত্রা ভালো রয়েছে। শীঘ্রই আবার বৃষ্টি ফিরবে। তাই এই নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।