কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে আদালতের নজরদারিতে হোক মৌরবি সেতু বিপর্যয়ের তদন্ত। এই দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছিল জনস্বার্থ মামলার আবেদন। সেই আবেদন গ্রহণ করল শীর্ষ আদালত। আগামী ১৪ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিকে মৌরবির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তার জন্য গোটা দেশের পুরনো সব সেতু ও স্মৃতিসৌধে ভিড় সামলানোর নিয়ম জারি করার দাবিও জানানো হয় আবেদনে।
জানা গিয়েছে, অজন্তা ঘড়ির প্রস্তুতকারক ওরেভা গ্রুপকে এই ব্রিজের দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিল মৌরবি পুরসভা। মৌরবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সন্দীপ সিং ঝালা সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৫ বছরের জন্য পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওরেভা কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল সেতুটি। চলতি বছরের মার্চ মাসে এটি সংস্কারের জন্য জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফের ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষে এটি খুলে দেওয়া হয়। সেতুটি খোলার জন্য কোম্পানিকে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল কি না তা আমাদের জানা নেই।’ পুর আধিকারিক আরও বলেন, সংস্কার কাজে কোম্পানিটি কী ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করেছে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও তথ্য নেই।এ ঘটনা প্রসঙ্গে গুজরাটের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জা বলেন, ‘গত সপ্তাহে সংস্কার করা হয়েছিল সেতুটির। আমরা এই দুর্ঘটনায় হতবাক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি... সরকার এই দুর্ঘটনায় দায় স্বীকার করছে।’
এদিকে গুজরাটের মৌরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সোমবার রাতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি,রাজ্যের ডিজিপি আশিস কুমার ও মুখ্যসচিব পঙ্কজ ভাটিয়া। গান্ধীনগরের রাজভবনে এই বৈঠক বসেছিল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় এই বৈঠকে। উদ্ধারকাজ এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় মোদীর কাছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।