সপ্তর্ষি দাস
গত তিনবছরে কতজন হাতির হানায় মারা গিয়েছেন তা নিয়ে সংসদে তথ্য পেশ করল সরকার। সরকার জানিয়েছে, গত তিনবছরে ১৫০০ জন মারা গিয়েছেন হাতির হানায়। তবে এই সময়ের মধ্যে ২৭টি হাতিকে চোরাশিকারীরা হত্যাও করেছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে এনিয়ে তথ্য় পেশ করেছেন। কংগ্রেসের সু থিরুনাভুক্কারাসার এনিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। তখনই এনিয়ে হিসেব পেশ করেছেন মন্ত্রী। গত কয়েকবছরে হাতি ও মানুষের সংঘাত ঠিক কোন জায়গায় গিয়েছে,সেটা বাড়ছে কি না সেটাই জানতে চেয়েছিলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পেশ করা তথ্য় অনুসারে দেখা যাচ্ছে, গত তিন বছরে মানুষ ও হাতির মধ্য়ে সংঘাত কিছুটা বেড়েছে। ২০১৯-২০তে এই ধরনের ৫৮৫টি ঘটনা হয়েছিল। ২০২০-২১এর মধ্য়ে ৪৬১টি এই ধরনের ঘটনা হয়েছিল। তবে গত বছর এই মৃত্যুর সংখ্য়া কিছুটা বেডে় দাঁড়িয়েছে ৫৩৫। একাধিক রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য় অনুসারে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এদিকে হাতির সংখ্যা বর্তমানে কত রয়েছে তা নিয়েও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর পেশ করার হিসেব অনুসারে দেখা যাচ্ছে, ভারতে প্রায় ৩০০০০ অর্থাৎ ২৯৯৯৬৪টি হাতি রয়েছে। সবথেকে বেশি হাতি রয়েছে কর্ণাটকে। সেখানে হাতির সংখ্য়া ৬০৪৯টি।
এর সঙ্গেই হাতির মৃত্যু নিয়েও হিসেব পেশ করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, গত তিন বছরে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৪১টি হাতির মৃত্য়ু হয়েছে। ১৯৮টি হাতির মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে। চোরাশিকারীরা ২৭টি হাতিকে মেরে ফেলেছে। বিষক্রিয়ার মৃত্যু হয়েছে ৮টি হাতির। তিনি তাঁর জবাবে জানিয়েছেন, বনদফতরের কর্মীরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেই , তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই যাবতীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন। মানুষ আর হাতির মধ্য়ে সংঘাত যাতে না বাড়ে সেকারণে সাধারণ মানুষকেও বার বার সতর্ক করা হয়। সাধারণ মানুষ ও হাতিদের জীবন রক্ষার ব্যাপারে সবরকম চেষ্টা করা হয়।
এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন প্রজেক্ট এলিফ্যান্ট প্রকল্পের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য় ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে সবসময় সহযোগিতা করে। মানুষ ও হাতির মধ্য়ে সংঘাত যাতে কমে সেব্যাপারে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। হাতি এলাকায় তাণ্ডব চালালে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রয়েছে। হাতি ও মানুষের মধ্য়ে সংঘাত এড়াতে একটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ৩৩টি এলিফ্যান্ট রিজার্ভ তৈরি করা হয়েছে। ভারতীয় রেলের সঙ্গে কথা বলে হাতির মৃত্য়ু ঠেকাতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।