চলন্ত ট্রেনে গুলি চালিয়ে চারজনকে খুন করেছিলেন আরপিএফ কনস্টেবল চেতন সিং। তিন যাত্রী ও এক সিনিয়র অফিসারকে গুলি করে খুন করেন তিনি। এদিকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়েছে ওই আরপিএফ হ্যালুসিনেশনে ভুগছিলেন। তাঁর মধ্য়ে প্রবল উদ্বেগজনিত সমস্যা হচ্ছিল।
তবে এবার প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, আরপিএফ জওয়ান আধকারিকদের নির্দিষ্ট সময় অন্তত ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। গত পিএমইতে এই ধরনের কোনও অসুস্থতার লক্ষণ তার মধ্য়ে দেখা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, ব্যক্তিগতভাবে চেতন সিংয়ের কিছু চিকিৎসা তার পরিবারের তরফে হয়ে থাকতে পারে। তবে সেটা অফিসিয়াল রেকর্ডে নেই। তিনি ও তাঁর পরিবার বিষয়টি চেপে রেখেছিলেন। গোটা বিষয়টি জিআরপি বোরিভালি তদন্ত করে দেখছে। খবর লেটেস্টলি ও পিআইবি সূত্রে।
অন্যদিকে আগামী ৭ অগাস্ট পর্যন্ত অভিযুক্ত আরপিএফ কনস্টেবলকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে গোটা ঘটনাকে ঘিরে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। ঠিক কেন এত উত্তেজিত হয়ে তিনি গুলি চালালেন তা এখনও পুরোটা পরিষ্কার নয়। ঠিক কী হয়েছিল সেদিন?
গত ৩১ জুলাই ৫টা ২৩ মিনিট নাগাদ জয়পুর-মুম্বই এক্সপ্রেসে ডিউটি করছিলেন ওই আরপিএফ কনস্টেবল। বি-৫ কোচে তিনি পরপর গুলি চালান তার একে-৪৭ রাইফেল থেকে। গুলিতে তিনজন যাত্রী মারা যান। তার এক সিনিয়র এএসআই টিকা রাম মিনার মৃত্যু হয় গুলিতে। পরে চেতন সিংকে আরপিএফ পোস্টে আটক করা হয়। তাকে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে সেদিন তিনি একটু আগে ডিউটি থেকে নিষ্কৃতি চেয়েছিলেন। এটা নিয়ে তার সঙ্গে টিকা রামের কিছুটা মন কষাকষি হয়েছিল। এমনটাই জানিয়েছিলেন এক আরপিএফ কনস্টেবল। এদিকে সেদিন নাকি প্রথম থেকেই কিছুটা অসুস্থতার কথা বলেছিলেন ওই অভিযুক্ত আরপিএফ কনস্টেবল। মাঝপথেই তিনি ট্রেন থেকে নেমে যেতে চেয়েছিলেন। এমনটাই খবর। কিন্তু গুলি চালিয়ে খুন করলেন এতজনকে? কোন রাগে তিনি এই কাণ্ড ঘটালেন? সেই প্রশ্নটা ঘুরছে বিভিন্ন মহলে। তবে আরপিএফে নিয়মিত চিকিৎসা করানো হয়। তারপরেও কেন ধরা পড়ল না তার অসুস্থতার খবর। সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে জেরা করে আসল ঘটনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।