বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Court on Abetting Suicide: ‘নিয়মিত কটূক্তি,অপমান কাউকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলতে পারে না’, পর্যবেক্ষণ আদালতের

Court on Abetting Suicide: ‘নিয়মিত কটূক্তি,অপমান কাউকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলতে পারে না’, পর্যবেক্ষণ আদালতের

‘নিয়মিত কটূক্তি, অপমান কাউকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলতে পারে না’, পর্যবেক্ষণ আদালতের (প্রতীকী ছবি - Pixabay)

২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি আত্মহত্যা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। বিয়ের একমাস পরই তিনি নিজের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। এরপরই প্রিয়াঙ্কার পরিবারের তরফে অভিযোগের আঙুল ওঠে ৩০ বছর বয়সি প্রশান্ত শেলার এবং প্রশান্তের মা ৫২ বছর বয়সি ভনিতা শেলার বিরুদ্ধে।

সমাজের নিম্ন স্তরের একজন মহিলাকে দৈনন্দিন জীবনে নিয়মিত কটূক্তি ও অপমান করা হয়। এই পর্যবেক্ষণ করে মুম্বইয়ের দায়রা আদালত আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা থেকে একজন ব্যক্তি ও তাঁর মাকে মুক্তি দিল। বিচারক বলেন, ‘নিয়মিত কটূক্তি, অপমান এবং বিধিনিষেধ একজন ব্যক্তিকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করে না। যদি এটা অপরাধমূলক মানসিকতার সঙ্গে করা হয় তাহলে তা ভিন্ন।’

বিচারক এনপি মেহতা বলেন, ‘পারিবারিক বিষয়ে প্রতিদিনই শাশুড়ি হয়ত অভিযোগ করেন যে তাঁর পুত্রবধূ ঠিকমতো কাজ করেন না। উল্লেখিত বাস্তব পরিস্থিতিকে মানসিক নিষ্ঠুরতার কারণ হিসাবে আখ্যা দেওয়া যায় না। কারণ এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। সাধারণত উভয় পক্ষের পরিবারেরই এই অবস্থা দেখা যায়।’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি আত্মহত্যা করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। বিয়ের একমাস পরই তিনি নিজের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। এরপরই প্রিয়াঙ্কার পরিবারের তরফে অভিযোগের আঙুল ওঠে ৩০ বছর বয়সি প্রশান্ত শেলার এবং প্রশান্তের মা ৫২ বছর বয়সি ভনিতা শেলার বিরুদ্ধে। তবে আদালত প্রশান্ত এবং তাঁর মা ভনিতাকে বেকসুর খালাস করেছে।

অভিযোগ ছিল, প্রশান্ত নাকি প্রিয়াঙ্কাকে ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেন না। আদালতের তরফে বলা হয়, ফোনে কথা বলতে না দেওয়ায় কেউ নিজের প্রাণ কেড়ে নিতে পারেন না। প্রশান্ত কোনও ভাবে প্রিয়াঙ্কার উপর শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার করেছে বলে প্রমাণ মেলেনি। উল্লেখ্য, চারবছর প্রেমের পর ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর বিয়ে করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা এবং প্রশান্ত। তবে বিয়ের একমাস যেতে না যেতেই নিজের প্রাণ কেড়ে নেন প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কা নাকি তাঁর পরিবারের কাছে হেনস্থার অভিযোগও জানিয়েছিল। প্রিয়াঙ্কার শাশুড়ি নাকি তাঁকে তাঁর ত্বকের রং নিয়ে খোটা দিত। প্রিয়াঙ্কা যদি প্রশান্তের ফোন না তুলত, তাহলে নাকি প্রশান্ত গালিগালাজ করত নিজের স্ত্রীকে। তবে আদালতে এই সব যুক্তি খাড়া হল না।

বন্ধ করুন