নাদিম ইনামদার
গো রক্ষকদের ১১ সদস্য়ের একটি টিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাসিক গ্রামীণ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। নাসিকে সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। সেই ব্যক্তি গো মাংস নিয়ে যাচ্ছে এই অভিযোগে তাকে মারধর করা হয়েছিল। পরে মৃত্যু হয় তার।
সূত্রের খবর শনিবার সন্ধ্যায় আমেদাবাদ থেকে মুম্বইয়ের দিকে একটি গাড়ি যাচ্ছিল। তাতে মাংস নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এরপরই অন্তত ১৫জন ওই গাড়িটিকে আটকায়। টোল প্লাজার কর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়েই তারা গাড়িটিকে আটকায়। এরপর গাড়িতে থাকা দুজনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে একজনের মৃত্য়ু হয়। মৃতের নাম আফান আব্দুল মাজিদ আনসারি। বয়স ৩১ বছর।
তিনি মহারাষ্ট্রের কুরলার বাসিন্দা। এদিকে অপর গাড়ি আরোহী নাসির হুসেন শেখ। তিনিও আহত হয়েছিলেন। তবে তার শারীরিক পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল।
এদিকে গত ৮ জুন একই ভাবে গো পাচারের অভিযোগে দুজনকে মারধর করা হয়েছিল। পরে ১০ জুন একজনের দেহ পাওয়া যায়। এরপর ইগতপুরী পুলিশ রাষ্ট্রীয় বজরং দলের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে।
নাসিক গ্রামীণ এসপি শাহজি উমাপ জানিয়েছেন, ১১জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খুন ও দাঙ্গার অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, গো রক্ষকদের নামে ওই গ্রুপটি চলছে। তারা গোরক্ষার কাজ করে বলে দাবি করছে। কিন্তু মাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। তবে এই প্রথমবার তারা এই ধরনের কাজ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে গত ৮ জুন যে ঘটনা হয়েছিল তার থেকে প্রায় ২৫ কিমি দূরে ফের একই ধরনের ঘটনা হয়েছে। গতবার হয়েছিল গো পাচারের চেষ্টার অভিযোগ। আর এবার মাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ।
তবে পুলিশ জানিয়েছে গত ৮ জুন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের সঙ্গে এই গ্রুপটির যোগ নেই। পুলিশ জানিয়েছে এদের একটা হোয়াটস অ্য়াপ গ্রুপ আছে। কোথাও গোমাংস নিয়ে যাওয়ার খবর পেলেই এরা সেখানে চলে যায়। সেখানে গিয়ে তারা এই কাজ আটকানোর চেষ্টা করে। আসলে টোল প্লাজার এক কর্মী দেখেছিলেন গাড়ির বাইরে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। এটা দেখেই তিনি গো রক্ষক টিমকে খবর দেন। আর তারপরই এই ঘটনা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ৪৫০ কেজি মাংস বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এগুলি মোষ নাকি গো মাংস তা খতিয়ে দেখতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।