ভয়াবহ ঘটনা। গুরুগ্রামের একটি মাদ্রাসাতে সহপাঠীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের বিরুদ্ধে। কারণ ওই কিশোর ওখানে পড়তে চাইছিল না। সে ভাবছিল এরকম একটা ঘটনা ঘটালে হয়তো মাদ্রাসাটা বন্ধ হয়ে যাবে। পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর। ওই কিশোরকে আটক করা হয়েছে। পরে তাকে একটি হোমে পাঠানো হয়।
এদিকে ২০১৭ সালে গুরুগ্রামের একটি স্কুলের ওয়াশরুমে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে খুন করা হয়েছিল। তারই ছায়া যেন এই ঘটনায়। সেই সময় দেখা গিয়েছিল দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্র অপর বন্ধুর গলা কেটে দিয়েছিল যাতে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়।
আর এই ঘটনায় দেখা যাচ্ছে গত ৩ সেপ্টেম্বর ১১ বছরের ওই কিশোর কিছুতেই বাড়ি ফিরছিল না। দিন দুয়েক বাদে মাদ্রাসার ঘর থেকে তার পচা দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ দুজন শিক্ষক ও রাঁধুনিকে এনিয়ে জেরা করে। কিন্তু কিছুতেই রহস্যের উন্মোচন হচ্ছিল না।
এরপর ৮ সেপ্টেম্বর ওই কিশোর বাবার কাছে জানায় সে ওই বন্ধুকে খুন করেছে। কারণ সে ওই মাদ্রাসায় পড়তে চায় না। এরপরই তার বাবা পাড়ার একজনকে বিষয়টি জানান। পরে তিনি পুলিশকেও বিষয়টি জানান। পুলিশ জানিয়েছেন, ভয়েতে ওই কিশোর তার বিবৃতি বদল করছিল। পরে অবশ্য স্বীকার করে নেয়।
ওই কিশোর জানিয়েছে, মাস ছয়েক আগে সে মাদ্রাসার ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু ভাষা শিক্ষার ক্লাস একদম ভালো লাগত না। কিন্তু সেটাই পড়তে তাকে বাধ্য করা হত। সেকারণেই চাইত খুন করলে হয়তো মাদ্রাসাটা উঠে যাবে।
৩ রা সেপ্টেম্বর সবাই যখন খেলতে বেরিয়ে যায় তখন ওই কিশোর ১১ বছরের সহপাঠীকে মুখে বার বার মারে। এরপর শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর দেহটিকে নিয়ে বালির নীচে চাপা দিয়ে দেয়।