ক্যাপিটল হিলে মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের স্মৃতি ফিরে এল ব্রাজিলে। ব্রাজিলিয়ান কংগ্রেস এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল সেদেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রকের অফিস, সুপ্রিম কোর্টেও হামলা চালাতে দেখা গিয়েছ বলসোনারো সমর্থকদের। এই আবহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সহ একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী মোদীও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান দেখানোর বার্তা দিলেন। পাশাপাশি লুলা দা সিলভার সরকারের পাশে থাকারও বার্তা দেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। (আরও পড়ুন: তাইওয়ানকে ঘিরে ফেলে ফের একবার সামরিক মহড়া চিনের, গভীর রাতে বিবৃতি পেশ PLA-র)
ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট লুলাকে ট্যাগ করে মোদী এক টুইট বার্তায় লেখেন, 'ব্রাসিলিয়াতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দাঙ্গা ও ভাঙচুরের খবরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সবারই গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যর সম্মান করা উচিত। আমরা ব্রাজিলীয় কর্তৃপক্ষকে আমাদের পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।' এদিকে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। পাশাপাশি ব্রাজিলের প্রতিবেশী চিলি, কলম্বিয়া এবং ভেনিজুয়েলাও ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান বলেন, 'প্রেসিডেন্ট বাইডেন পরিস্থিতির ওপর নিবিড়ভাবে নজর রেখে চলেছেন। ব্রাজিলের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আমাদের সমর্থন অটুট। ব্রাজিলের গণতন্ত্র সহিংসতায় নড়ে যাবে না।' মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন টুইট বার্তায় এই হামলার নিন্দা জানান।
এক সপ্তাহ আগে, গত ১ জানুয়ারি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভাগ গ্রহণ করেছিলেন লুলা দা সিলভা। তবে রীতি মেনে তাঁর হাতে প্রেসিডেনশিয়াল স্যাশ তুলে দেননি বলসোনারো। বরং লুলা শপথ নেওয়ার আগেই দেশ ছেড়েছিলেন বলসোনারো। আমেরিকার ফ্লোরিডা প্রদেশে পাড়ি দেন তিনি। সেখানে অবস্থিত ডিজনিল্যান্ডের খুব কাছেই একটি বাড়ি ভাড়া করে সেখানে থাকছেন বলসোনারো। এর আগে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন বলসোনারো। তবে তাঁর কাছে প্রমাণ ছিল না। এদিকে ব্রাজিলিয়ান কংগ্রেস ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলার দায় বলসোনারোর ঘাড়েই চাঁপিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লুলা। তবে লুলার সেই অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বলসোনারো। পাশাপাশি তিনি এই ঘটনার নিন্দাও জানিয়েছেন। তবে তিনি এও দাবি করেছেন, তাঁর সমর্থকদের 'শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে'র অধিকার রয়েছে। এদিকে ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্ব ফেডারেল বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছেন লুলা দা সিলভা। তিনি ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করে বলে জানিয়েছে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম।