ন্যাশানাল অ্যাচিভমেন্ট সার্ভে। সারা দেশ জুড়ে শুক্রবার করা হল এই বিশেষ সমীক্ষা। প্রতি তিনবছর অন্তর স্কুলস্তরে এই সমীক্ষা করা হয়। ২০১৭ সালে শেষ বার এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। তবে ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির জেরে এই সমীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সেকারণে এবার সেই সমীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে ৯৬ শতাংশ স্কুল ও ৯২ শতাংশ ছাত্রছাত্রী এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এই সমীক্ষার মাধ্যমে মূলত শিক্ষার নানা দিক যাচাই করা হয়। তৃতীয়, পঞ্চম, অষ্টম ও দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য মান যাচাই করার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। সূত্রের খবর ৭৩৩টি জেলায় ১ লক্ষ ২৩ হাজার স্কুলের ৩.৮ মিলিয়ন পড়ুয়া এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
তবে এবারই প্রথম বেসরকারি স্কুলের তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারাও অংশ নিল এই সমীক্ষায়। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, কোভিড পরিস্থিতিতে শিক্ষার হাল কেমন, শিক্ষার নানা দিক কতটা রপ্ত করতে পেরেছে ছাত্রছাত্রীরা, নতুন কী প্রয়োজন এসব সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্যই এই বিশেষ সমীক্ষা। ন্যাশানাল এডুকেশন পলিসি ২০২০ প্রকাশিত হওয়ার পর এবারই প্রথম এই ধরনের সমীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তবে শুধু স্কুলের পড়ুয়ারা নয়, শিক্ষক, প্রিন্সিপালরাও এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। দিল্লির ইন্ডিয়ান স্কুলের প্রিন্সিপাল তানিয়া যোশী বলেন, কোভিড পরিস্থিতি শিক্ষাব্যবস্থায় কতটা প্রভাব ফেলেছে সেই সম্পর্কেও সমীক্ষায় জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। অতিমারির পরবর্তী পরিস্থিতিতে শিক্ষানীতি তৈরির ক্ষেত্রে এই সমীক্ষা বিশেষভাবে কার্যকরী হবে। এদিকে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্রে সমীক্ষায় অংশগ্রহণের হার যথেষ্ট ভালো। তবে পশ্চিমবঙ্গে স্কুলগুলি না খোলায় সমীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দেয়।