নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে গত ২৩ জানুয়ারি ইন্ডিয়া গেটের সামনে নেতাজির হলোগ্রাম প্রতিকৃতী প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে উদ্বোধনের ১০ দিনের মাথাতেই ‘উধাও’ হয় নেতাজির সেই হলোগ্রাম। এই নিয়ে সংসদে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে ইন্ডিয়া গেটের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা গিয়েছিল সৌগত রায়, সুখেন্দু শেখর রায়, শান্তা ছেত্রী, জহর সরকারদের। সেই প্রতিবাদের পরই শুক্রবার ফের নেতাজির হলোগ্রাম প্রতিকৃতিটকে স্বমহিমায় আলোকিত থাকতে দেখা গেল ইন্ডিয়া গেটের সামনে।
এর আগে কেন্দ্র জানিয়েছিল যে খারাপ আবহাওয়ার জেরেই দেখা যাচ্ছে না নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তিটি। কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। এক শীর্ষ আধিকারিক এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থাকে জানান, গত বৃহস্পতিবার খারাপ আবহাওয়ার কারণে নিয়ম মেনেই হলোগ্রাম বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল মাঝরাত থেকেই তা ফের চালু করে দেওয়া হয় তা।
জানা গিয়েছে, ৩০ হাজার লুমেন ফোরকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে স্বচ্ছ হলোগ্রাফিক স্ক্রিনে নেতাজির অবয়বটি ফুটি তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নেতাজির ওই অবয়বটি দেখা না যাওয়ায় সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। নেতাজিকে রাজনীতির হাতিয়ার করা হচ্ছে বলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁকে নিয়ে রেষারেষি জারি রাজ্যের তৃণমূল সরকার ও কেন্দ্রের বিজেপির সরকারের মধ্যে। এই আবহে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলার তরফে নেতাজির ট্যাবলো প্রস্তাবিত করা হলেও তা খারিজ হয়ে যায়। এই ট্যাবলো বিতর্কে জল ঢেলে আচমকাই প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেন যে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের সামনে ক্যানপিতে নেতাজির গ্রানাইটের মূর্তি বসবে। সেই মূর্তি তৈরি হতে অবশ্য প্রায় ছয় মাস সময় লাগার কথা। আর সেই সময়কালে সেখানে নেতাজির একটি হলোগ্রাম প্রতিকৃতী থাকবে বলে জানিয়েছিলেন মোদী।