একেবারে নিয়ম মেনে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের রাতেই ঘটল বিপত্তি। ছাদ থেকে লাফিয়ে পালাতে শুরু করেন নববধূ। পরে অবশ্য সেই নববধূকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। পুরো ঘটনা সামনে আসতেই ওই পুলিশকর্মীরাও রীতিমতো চমকে গিয়েছেন। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ভিন্ডের গোরমীর।
আজতকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাঞ্চভের এক বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি সোনু জৈনের বিয়ের জন্য ৯০,০০০ টাকা নেন উদল খটিক নামে এক পরিচিত। আচমকা গত মঙ্গলবার অনিতা নামে এক মহিলার সঙ্গে সোনুর বাড়িতে আসেন উদল। অনিতাদের সঙ্গে অরুণ এবং জিতেন্দ্রও আসেন। বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সামনেই অনিতার সঙ্গে সোনুর বিয়ে দেওয়া হয়। নিয়মমতো সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। অনিতাকে মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দেন সোনু। সিঁদুরও পরিয়ে দেন। নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করেন সোনুর পরিবারে লোকজন।
সেই পর্যন্ত ঠিক ছিল। তারপরই ঘটে বিপত্তি। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আশীর্বাদের পর পরিবারের সদস্যরা নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান। বাকিরা নিজের ঘরে চলে যান। অনিতা নামে ওই নববধূ দাবি করেন, তাঁর শরীর খারাপ লাগছে। তারপরই ছাদ থেকে লাফ দিয়ে বাড়ির পিছন দিয়ে পালিয়ে যান। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই টহলদারি পুলিশ অনিতাকে পাকড়াও করে। জিজ্ঞাসাবাদের পরই পুরো বিষয়টি সামনে আসে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। খবর যায় সোনুর পরিবারের কাছেও।
গোরমী থানায় জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করেন সোনু। উদল, জিতেন্দ্র, অরুণ, অনিতা এবং এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে রুজু হয়েছে এফআইআর। ইতিমধ্যে দুই যুবককেও পাকড়াও করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।