চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে সম্মত হয়েছেন বরিস জনসন। সরেছেন নিজের দলের নেতার পদ থেকেও। এই আবহে তাঁর বদলে নয়া প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবে কনজারভেটিভ পার্টি। ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে রয়েছেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং এক পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতও। এই আবহে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম জানা যাবে ৫ সেপ্টেম্বর। সোমবার কনজারভেটিভ পার্টির বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ভোটাভুটি শেষে ৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে।
এখনও পর্যন্ত ১১ জন কনজারভেটিভ নেতা দলের গদিতে বসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে থেকে দু’জনই চূড়ান্ত ভোটাভুটিতে প্রার্থী হতে পারবেন। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের পদত্যাগের পরই টালমাটাল পরিস্থিতি হয়েছিল বরিসের। এরপর একে একে প্রায় ৫০ জন তাঁর সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। চাপের মুখে পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন বরিস। এখন তাঁর উত্তরসূরি হওয়ার দৌড়ে একে একে নাম লেখাচ্ছেন কনজারভেটিভ নেতারা।
১০ ডাউনিং স্ট্রিটে নয়া বাসিন্দা হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। তাঁকে ঘিরে জল্পনার মাঝেই ঋষিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ময়দানে নেমেছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদ। উল্লেখ্য, সম্প্রতি পার্টিগেট বিতর্কের ধাক্কা সামলে ওঠেন জনসন। তবে এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, মন্ত্রিসভায় স্বচ্ছ সদস্যদের নিয়োগ করতে পারেননি তিনি। যৌন নিপীড়নের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কয়েকজন সদস্যকে সরকারের উচ্চপদে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই আবহে পরপর পদত্যাগের মুখে প্রবল চাপে পড়েন বরিস। শেষ পর্যন্ত তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী এবং দলনেতার পদ থেকে তিনি সরছেন। পরবর্তী দলনেতা বাছাই পর্যন্ত অবশ্য তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের দায়িত্ব সামলাতে থাকবেন।