অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনার দ্বিতীয় দিনে আজ বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আক্রমণ শানালেন রাহুল গান্ধী। তিনি মণিপুরের ইস্যু তুলে ধরে অভিযোগ করেন, বিজেপি ভারত মাতার হত্যা করেছে। আর সেই আক্রমণের জবাব দিতে উঠে কাশ্মীর ইস্যু এবং ৩৭০ ধারার বিষয়টি তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। আজ রাহুলের বক্তব্যের জবাবে লোকসভায় স্মৃতি বলেন, 'ভারত মাতার হত্যার কথা বলে টেবিল বাজিয়েছে কংগ্রেসীরা। তারা বসে বসে তাদের মাকে হত্যার কথা বলেছে এবং টেবিল বাজিয়েছে। গোটা দেশ এটা দেখেছে। আপনারা ইন্ডিয়া নন, কারণ ইন্ডিয়া দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। ইন্ডিয়া রাজবংশে নয়, যোগ্যতায় বিশ্বাস করে। আজকের দিনে আপনাদের মতো লোকদের জন্য সেটাই হলা উচিত যে ব্রিটিশদের বলা হয়েছিল - ভারত ছাড়ো। দুর্নীতি ভারত ছাড়ো, রাজবংশ ভারত ছাড়ো। মেধা এখন ভারতে স্থান পায়।'
কাশ্মীরের এক ঘটনা তুলে ধরে রাহুলকে পালটা তোপ দাগেন স্মৃতি। তিনি বলেন, 'গিরিজা টিকোওয়াস নামে এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে গণধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। যখন এটা একটি চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছিল, তখন কিছু কংগ্রেস নেতা এটাকে প্রোপাগান্ডা বলে উল্লেখ করেছিলেন। একই দলের নেতারা আজ মণিপুর নিয়ে কথা বলছেন। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বারবার বলেছেন যে সরকার মণিপুর ইস্যুতে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে বিরোধীরা পালিয়েছে, আমরা তা করিনি।'
স্মৃতির কথায়, 'আজ সংসদে উল্লেখ করা হয়েছে যে রাহুল গান্ধী একটি যাত্রায় হেঁটেছেন। সেখানে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে ৩৭০ ধারা পুনঃস্থাপন করবেন। আমি তাঁকে বলতে চাই, দেশে ৩৭০ ধারা পুনঃস্থাপন করা হবে না এবং যারা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের 'রালিব গালিব চালিব' বলে হুমকি দিত, তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। আমি তাদের বলতে চাই, কাশ্মীরে আর ৩৭০ ধারা ফিরবে না।' পাশাপাশি আজ ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গা নিয়েও কংগ্রেসকে খোঁচা দেন স্মৃতি ইরানি।
এর আগে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ শানিয়ে রাবণের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন রাহুল। রাহুল গান্ধী আজ বলেন, ‘এরা মণিপুরে ভারতের হত্যা করেছে। ভারত একটা আওয়াজ। আমাদের দেশের মানুষের মনের আওয়াজকে মণিপুরে হত্যা করেছেন আপনারা। মণিপুরে ভারতমাতার হত্যা করেছেন আপনারা। মণিপুরের লোকদের মেরে ভারতমাতাকে খুন করেছে। আপনারা দেশদ্রোহী। দেশপ্রেমী নয়। ভারতীয় সেনা একদিনে মণিপুরকে শান্ত করতে পারে। তবে আপনারা তা করছেন না। মোদী ভারতের আওয়াজ শোনেন না। রাবণ দু'জনের কথা শুনত। মেঘনাদ ও কুম্ভকর্ণ। আর মোদী শোনেন অমিত শাহ ও আদানির আওয়াজ। লঙ্কা হনুমান জ্বালাননি। লঙ্কা পুড়েছিল রাবণের অহংকারে।’