করোনাভাইরাস উপসর্গযুক্ত রোগীদের ভরতি নিতে অস্বীকার করা যাবে না। নয়তো হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সেই হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার পরই নয়া নির্দেশিকা জারি করল দিল্লি সরকার।
শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে রাজ্যের সমস্ত করোনা হাসপাতালকে মাঝারি বা অধিক উপসর্গযুক্ত যে কোনও ব্যক্তিকে ভরতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট না থাকার যুক্তি দেখিয়ে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানানো হয়েছে। রাজ্যের অধীনস্থ সমস্ত করোনা হাসপাতালে সেই নিয়ম কার্যকর হবে।
রাজধানীতে ক্রমশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্যে শনিবার কেজরিওয়াল হুঁশিয়ারি দেন, যে হাসপাতালগুলি করোনাভাইরাস রোগীদের জন্য নির্ধারিত 'শয্যার সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা বলছে', সেগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকী সেই হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে মহামারীর সময়ে বেশি টাকা কামানোর অভিযোগ তোলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবার পর্যন্ত দিল্লিতে ৮,৬৩৭ করোনা শয্যা রয়েছে। তার মধ্যে ৪,২২৫ টি শয্যা ভরতি হয়ে গিয়েছে। তারইমধ্যে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি শনিবার দিল্লি সরকারের কাছে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের শেষে ১৫,০০০ করোনা শয্যা লাগবে। সরকারের তরফে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা না হলেও নাম গোপন রাখার শর্তে কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন, চলতি মাসের শেষে দিল্লি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১০০,০০০ এবং জুলাইয়ের মাঝামাঝি দিল্লিতে ৪২,০০০ করোনা শয্যা লাগবে।
এদিকে, দিল্লির করোনা পরীক্ষার ক্ষমতা নিয়ে যে আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছিল, শনিবার সে বিষয়েও আশ্বস্ত করেন কেজরিওয়াল। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) পরীক্ষা-বিধি অমান্য করায় সম্প্রতি কয়েকটি হাসপাতাল এবং ল্যাবের করোনা পরীক্ষা করার অনুমতি কেড়ে নিয়েছিল দিল্লি সরকার। তার জেরে নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছিল। উত্তরোত্তর আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্যে তা বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল।