পেট্রোল-ডিজেলের এত দাম। কিন্তু আপনি কি জানেন, তা সত্ত্বেও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তেল বিক্রেতা সংস্থাগুলি? তবে এবার সেই ছবি কিছুটা বদলালো। সৌজন্যে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে পতন। আর তার ফলেই বর্তমানে পেট্রোল এবং রান্নার গ্যাসে কিছুটা হলেও স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে তেল বিপণন সংস্থাগুলি। তবে ডিজেলের ক্ষেত্রে অবস্থা এখনও তথৈবচ। এখনও ডিজেল বিক্রি করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সংস্থাগুলি।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেট্রোলিয়াম কোম্পানি ভারত পেট্রোলিয়াম। সংস্থার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর অরুণ কুমার সিং জানান, গত চার-পাঁচ মাসে অপরিশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক দামের ক্রমাগত ওঠানামা হচ্ছে। এই লাগাতার দাম বদলানোর কারণে, সরকারি পেট্রোল ও ডিজেলের দামে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।
তিনি ব্যাখা করেন, কোনও কোনও দিন ব্যারেল প্রতি পাঁচ-সাত ডলার পর্যন্ত দাম ওঠানামা করছে। এমন অস্থির পরিস্থিতিতে আমরা ক্রেতাদের উপর চাপ দিতে পারিনি। কিন্তু কোনও সংস্থাই এমন দামের ওঠানামার বোঝা সহ্য করতে পারবে না।
বিপিসিএল ছাড়াও, অন্যান্য সরকারি পেট্রোলিয়াম সংস্থাও একইরকম চাপে। ইন্ডিয়ান অয়েল এবং এইচপি-ও প্রায় পাঁচ মাস ধরে পেট্রোল এবং ডিজেলের রিটেল দামে পরিবর্তন করেনি। বিপিসিএল-এর প্রধান বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আমাদের নিজেদেরই কিছু ক্ষতি বহন করতে হচ্ছে। তবে আমাদের এই আশাও ছিল যে ভবিষ্যতে সেই ক্ষতি পুষিয়েও যাবে।
তবে সেই ভবিষ্যত অদূর কিনা, তা জানা নেই।
এক সময় আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের চড়া দামের কারণে পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলি ডিজেলের লিটার প্রতি ২০-২৫ টাকা এবং পেট্রোলে ১৪-১৮ টাকা ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমার পরেও, লোকসানের ধারা অব্যাহত। যদিও আগের তুলনায় তা অনেকটাই কম। এভাবে চলতে থাকলে আগামী মাস থেকে এলপিজি-তে আর কোনও লোকসানই হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। একইভাবে, পেট্রোলেও আমাদের কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। তবে ডিজেলের ক্ষতির বিষয়টা এখনও অব্যাহত রয়েছে।